পটিয়া প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের পটিয়ায় ২১ জন বিএনপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনের ৩ ধারায় পটিয়া থানায় মামলা হয়েছে। গত ১৫ জুলাই পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলমকে প্রধান আসামি করে আরো ২০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি পটিয়া থানায় দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামীরা হলেন, পটিয়া পৌর বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম সওদাগর, কচুয়াই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বাবু, হাইদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইউনুস, জেলা বিএনপি নেতা মঈনুল আলম ছোটন, পৌর যুবদল নেতা এস এম রেজা রিপন, সাইফুর রহমান আবু, মো. নুরুল আবসার, মো: ইমরান, পিচ্চি করিম, আক্তারুজ্জামান বাবুল, কাজিম উদ্দিন, মনসফ আলী, মফিজুর রহমান, আল রহমান সোহেল, আজাদ খান, আবদুল সালাম, জাহাঙ্গীর আলম, জসিম মোল্লা, মো. বেলাল, আলম মেম্বারসহ অজ্ঞাত আরো ১৪০/১৫০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার প্রধান আসামি ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলম বলেন, এসব মিথ্যা গায়েবি মামলা দিয়ে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। চলমান এক দফার আন্দোলন আমরা বাস্তবায়ন করে ঘরে ফিরে যাব। পটিয়ায় হামলা কিংবা ককটেল বিস্ফোরণের মত কোনো ঘটনাই ঘটেনি। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঘরছাড়া করতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা নতুন ধরনের গায়েবি মামলা দিচ্ছেন। পটিয়া থানা পুলিশ আওয়ামী লীগের নেতাদের মত আচরণ করছেন। পুলিশ বেশি বাড়াবাড়ি করলে পরিনতি ভালো হবে না বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন এ বিএনপি নেতা। দক্ষিন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও পটিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এনামুল হক এনাম বলেন, ২০১৮ সালে দেখেছিলাম পুলিশ বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিয়ে ঘরছাড়া করেছিল। এবারও মিথ্যা হামলার নাটক সাজিয়ে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছেন সরকারদলীয় নেতারা। বিএনপির এ নেতার দাবি, এ সবই ‘গায়েবি মামলা’ অর্থাৎ, ঘটনা ছাড়াই মামলা দেওয়া হয়েছে। যার কারণে মামলার বিবরণ ও ধারা প্রায় একই রকম। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সারা দেশে এ রকম অসংখ্য মামলা হয়েছিল পুলিশ বাদী হয়ে। কিন্তু এবার বাদী করা হয়েছে এক যুবলীগ নেতাকে। মামলার বিবরনে জানা যায়, গত ১৪ জুলাই রাত নয়টার দিকে কচুয়াই ইউনিয়ন পারিগ্রাম এলাকায় গিরি চৌধুরী বাজারের নিকটবর্তী ময়লার স্তূপের পাশে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের উপর যখন বাদী নজরুল ইসলাম পৌঁছে তখন ১৬০/১৭০ জন লোকের ভিড় দেখতে পান। এসময় তাকে দেখে কয়েক জন লোক পথরোধ করেন। তারা তাকে ও সরকারকে উদ্দেশ্য করে নানা রকম কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে থাকেন। এসময় আসামিরা পরপর কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেন। মামলার বাদী ও পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহ্ত মোবাইল নাম্বারে বেশ কয়েক বার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে পটিয়া থানার ওসি প্রিটন সরকারের সরকারি মোবাইল নাম্বারের বেশ কয়েক বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ পরিদর্শক মো. আবু সায়েম জানান, এবিষয়ে আমার ওসি স্যার জানেন। আমি এর বেশি কিছু বলতে পারব না।