বাঁশখালী থেকে সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন চাইবেন-এডভোকেট জিয়াউদদীন

সংসদ সদস্য প্রার্থী-

 

বাঁশখালী  প্রতিনিধিঃ

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচ‌নে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আস‌নের সংসদ সদস‌্য প্রার্থী হি‌সে‌বে আওয়ামীলী‌গের ম‌নোনয়ন প্রত‌্যাশী এডভো‌কেট এএইচএম জিয়াউদ্দিন এর মত‌বি‌নিময় সভা শনিবার ৫ আগস্ট দুপুরে বাঁশখালী পৌরসদরস্থ একটি রেস্টু‌রে‌ন্টে অনু‌ষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক পূর্বকোণ প্রতিনিধি অনুপম কুমার দে অভি, দৈনিক চট্টগ্রাম মঞ্চ প্রতিনিধি মোঃ শফকত হোসাইন চাটগামী, দৈনিক কালের কন্ঠ প্রতিনিধি উজ্জ্বল বিশ্বাস, দৈনিক আজাদী প্রতিনিধি কল্যান মুক্তা বড়ুয়া,দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি আব্দুল মতলব কালু,দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধি শাহ মুহাম্মদ শফি উল্লাহ,দৈনিক সংগ্রাম ও দিনকাল আব্দুল জাব্বার,দৈনিক জনকণ্ঠ প্রতিনিধি জোবাইর চৌধুরী, দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি আবু বক্কর বাবুল, চট্টগ্রাম পোস্ট এর সম্পাদক ও বাঁশখালী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোঃ আইয়ুব, দৈনিক মানবকন্ঠ ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ প্রতিনিধি মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের,দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি সৈকত আচার্য্য, দৈনিক অধিকার প্রতিনিধি শিব্বির আহমদ রানা,
দৈনিক গণকন্ঠ প্রতিনিধি মোঃ আফনান, বাঁশখালী টাইমসের সম্পাদক আবু ওবাইদা আরাফাত প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ‌্য, এডভোকেট এএইচএম জিয়া উদ্দিন বাংলাদেশ আওয়ামী রাজনীতির একজন পরিচ্ছন্ন নেতা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নির্ভীক এই সৈনিক ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত। দলের দুঃসময়ের অকুতোভয় বীর, দক্ষ সংগঠক ও কর্মীবান্ধব এই নেতা সততা, নৈতিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে একজন ক্লিন ইমেজের ত্যাগী নেতা হিসেবে সর্বমহলে সুপরিচিত হয়ে উঠেছেন।

এডভোকেট জিয়া উদ্দিন বংশীয় সূত্রে প্রসিদ্ধ আওয়ামী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা এডভোকেট আবদুস সবুর ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৭৩ সালে তিনি রেডক্রস চট্টগ্রামের সহ সভাপতি নিযুক্ত হন। তিনি কলকাতা ইসলামীয়া কলেজে অধ্যয়নকালে বেকার হোস্টেলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুমমেট ছিলেন।

আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে আমৃত্যু দলের জন্য কাজ করেন। তাঁর দাদা মরহুম আবদুল লতিফ খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ডিস্ট্রিক চেয়ারম্যান) ৭ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর নানা এএইচএম মোফাখখর ছিলেন একজন প্রথিতযশা আইনজীবী। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন।

 

মাতা মরহুমা বেগম মমতাজ চৌধুরী ছিলেন একজন সুসাহিত্যিক। তিনি মমতাজ। সবুর নামে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখালেখি করতেন। তাঁর মৌলিক গ্রন্থের সংখ্যা ছয়টি। তাঁর সারণে যোগ্য উত্তরসূরীগণ মমতাজ সবুর সাহিত্য পুরস্কার চালু রেখেছে। এ পুরস্কার পেয়ে থাকেন দেশসেরা কবি-সাহিত্যিকগণ। তিনি ২০০২ সালে চট্টগ্রাম ডাইজেস্ট কর্তৃক রত্নগর্ভা মা পুরস্কারে ভূষিত হন।

এডভোকেট এএইচএম জিয়া উদ্দিন ১৯৬৯ সালের মার্চের ২ তারিখ জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসন বিষয়ে তিনি মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। তিনি পরিবারের ৬ষ্ঠ সন্তান, ভাইদের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তাঁর বড় ভাই। এএইচএম কফিল উদ্দিন (মাস্টার্স একাউন্টিং) এলিট গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের জেনারেল ম্যানেজার। মেঝভাই প্রথিতযশা আইনজীবী বিচারপতি বোরহান উদ্দিন বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের মাননীয় বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রথম বোন শাহিন সবুর (এমএ- অর্থনীতি) ইউনাইটেড আরব আমিরাতে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত।

 

পাশাপাশি তিনি লেখালেখি ও মৌলিক গ্রন্থ রচনায় যুক্ত আছেন। দ্বিতীয় বোন নাছরিন সবুর (এমএ ইতিহাস) সপরিবারে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। তৃতীয় বোন তহুরুন সবুর ডালিয়া এনায়েত বাজার মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ; তিনিও লেখালেখিতে সক্রিয় ও মৌলিক গ্রন্থ রচনায় যুক্ত আছেন।

 

চতুর্থ বোন নাহিদ শিরীন প্রিয়া এবি ব্যাংকের এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন।

(এডভোকেট এএইচএম জিয়া উদ্দিন তাঁর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে রাজনীতি, সমাজসেবা ও আইন সেক্টরের বিভিন্ন শীর্ষ পদে শুরু দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগ চট্টগ্রাম মহানগরের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দীর্ঘ সময়ে দলের দুঃসময়েও তিনি চট্টগ্রাম মহানগরে আওয়ামী রাজনীতিকে চাঙ্গা রাখেন। তাঁর নেতৃত্বে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ও কর্মতৎপরতা পরিলক্ষিত হয়। তিনি সফল সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ও নতুন কার্যকরী কমিটি উপহার দেন।

 

তিনি ১৯৮৯ সালে পাথরঘাটা ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৯৪ সালে বঙ্গবন্ধু ল’ টেম্পল ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি ও ১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে তিনি কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সদস্য নিযুক্ত হন। এডভোকেট জিয়া উদ্দিন ১৯৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও ১৯৯৬ এর গণ আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

তিনি ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। তিনি ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির টানা ৩ বারের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

এছাড়াও তিনি বাঁশখালী সমিতি চট্টগ্রামের সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আজীবন সদস্য, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছেন।

 

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.