বিধ্বস্ত সাতকানিয়ায় অবহেলিত কালিয়াইশ-এওচিয়া সংস্কার হবে আগামি সপ্তাহে

নিজস্ব প্রতিবেদক 
শতাব্দীর প্রথম এই বন্যা অনেকটা কাবু করে ফেলে দক্ষিণের মানুষদের। পানিবন্দী হয়ে বিদ্যুৎ, খাবারের সংকটে তৈরী হয় দূর্ভোগ। মাইলের পর মাইল সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ভেঙেছে হাজারো কৃষকের স্বপ্ন।আগ্রাসী বন্যার কথা মনে পড়লেই আঁতকে উঠেন অনেকে। দুঃস্বপ্নের সেসব নির্ঘুম রাত মনে করতে চাননা অনেকে।
শেষ আশাটুকুও নিরাশার বালুকণায় দেবে  গেলো সাতকানিয়ার বাসিন্দাদের।
এখন শুধু ঘুঁরে দাঁড়ানোর পালা,রাস্তাঘাট সংস্কার করে একটু যাতায়াত করতে পারলেই হলো, আর রাতে কোনমতে মাথা গুঁজিয়ে পরিবারপরিজন নিয়ে ঘুমাতে পারলেই চলবে তাদের।
তবে  তারা জানেনা কখন একটু ঘরে ঘুমাবে! আর তারা জানেনা তাদের ছোট ছোট বাচ্চারা রাস্তা পার হয়ে কখন স্কুলে যাবে?
কারণ রাস্তাই তো নেই অনেক ইউনিয়নে,তার মধ্যে এওচিয়া,সাতকানিয়া সদর ইউনিয়ন, কালিয়াইশ নলুয়া অন্যতম।
কালিয়াইশ বাসীর অভিযোগ সাঙ্গু নদীর তীরের সাথে লাগোয়া একটি ইউনিয়নের নাম কালিয়াইশ, কালিয়াইশের বুক চিরে শঙ্খ উত্তাল হয়ে বেশকয়েকটি ইউনিয়ন বন্যায় আক্রান্ত হলেও কালিয়াইশের পাশে কেউ নেই।
সরকারি ত্রাণের নির্দিষ্ট সহযোগিতা ছাড়া বেসরকারী ভাবে কিছুই চোখে দেখেনি কালিয়াইশের জনগণ।
তাদের অভিযোগ ১৫০টি কাঁচাঘর ১০০টি বেড়ার ঘর, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ সড়ক পুরোপুরি শেষ হলেও সবাই  ত্রাণ নিয়ে গাড়ী নিয়ে কেরানীহাট চলে যায়, আমাদের এখানে কোন ব্যক্তি ত্রাণ দিবে তো দূরের কথা পরিদর্শনেও আসেনি।
এদিকে কালিয়াইশের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাফেজ আহমদের বক্তব্যও একই, তিনি বলেন-সবাই সোজা রাস্তা দেখে কিন্তু শঙ্খের চরের কালিয়াইশকে কেউ চোখে দেখেনা।
তিনি আরো বলেন আমি সরকারি যা বরাদ্দ পেয়েছি তার ভেতরেও নিজস্ব তহবিল থেকে ৭০০জন মানুষকে ত্রাণ দিয়েছি।
আমার পার্শ্ববর্তী সাঙ্গুনদীতে মাত্র দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ দিলে আমার ইউনিয়নও বাঁচবে এবং অন্তত আরো ৪টি ইউনিয়ন বন্যা থেকে রেহায় পাবে।
অপরদিকে আকাঁবাকা ডলুনদীর গাঁ ঘেঁষে প্রায় ১৫কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়ন, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ছালেহসহ  সরেজমিনে প্রতিবেদক পরিদর্শনে গেলে দেখা যায় এওচিয়া ইউনিয়নের৬. ৭.৮.৯ওয়ার্ডের গোলারঘাট এলাকা থেকে শুরু করে  অন্তত ৮টি পয়েন্টে ডলুনদীর ভাঙ্গন হয়ে তলিয়ে গেছে জনসাধারণের বসতভিটা, সরেজমিনে বসতভিটাকেও ডলুনদীর উপশাখা মনে হয়েছে এই  প্রতিবেদকের।
এদিকে এওচিয়ার ভয়াবহ ভাঙ্গনের বিষয়ে চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সওকত ইবনে শাহিন বলেন আগামি এক সপ্তাহের মধ্যেই এওচিয়ার ভাঙ্গন এলাকায় সংস্কারের কাজে হাত দেয়া হবে।
এওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ছালেহ বলেন-স্মরণকালের ভয়ালরূপে এসেছিলো আগষ্টের এই বন্যা,আমরা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি আমাদের শান্ত এওচিয়াতে ডুবিয়ে দিবে বন্যার ভয়াল গ্রাস!
তবুও আমি আশাবাদী আগামি ১০দিনের ভেতর এওচিয়ার ভাঙ্গাচোরা সবকিছু সংস্কার করতে পারব।
কারণ আমাদের এওচিয়ার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড আন্তরিক।
মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.