সরকারী জায়গায় দখল করে দোকান নির্মাণ!

অবশেষে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

বাঁশখালী প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভায় সরকারী খাস জায়গায় অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখল করে রাতের অন্ধকারে দোকান নির্মাণের কাজ চালিয়ে গেলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাল পতাকা টেঙ্গে দেওয়া হলেও এসবের তোয়াক্কা না করে পুনরায় দোকানের ছাদ ও দেওয়াল নির্মাণের কাজ চালানোর অভিযোগে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ৩ টায় দিকে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে সদ্য যোগদানকৃত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট আব্দুল খালেক পাটোয়ারী। অভিযানে দোকানের ভিতরের ওয়াল গুলো গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসী ও মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পৌর সভার বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আবহমান কাল থেকে বহুল পরিচিত এই জলদী মিয়ার বাজার । প্রধান সড়কের পাশে উওর জলদী ৪ নং সীটের জেল নং ৫২ মৌজার বি.এস ১২৮৭৮ দাগের ২২ শতক খাস জমির উপর চৌধুরী মার্কেটের সামনেই অবৈধভাবে এসব দোকান নির্মাণ করেছেন হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের যুগ্ম মোতাওয়াল্লী দাবীকারী মুঈনদ্দিন চৌধুরী। উক্ত বাজারের বি.এস ১২৮৮০ দাগের উপর হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের উপর নির্মিত চৌধুরী নিউ মার্কেটের সামনে খাস খতিয়ানের ভূমি জোরপূর্বক দখল করে দোকান নির্মাণ করা নিয়ে বেশ কয়েকবার জাতীয় পত্রিকা ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় সংবাদ পরিবেশন হলে স্থানীয় প্রশাসন এ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে সর্তক করে দেওয়া হলে ও তা না মেনে পুনরায় কাজ চলিয়ে যাওয়ায় অবশেষে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো দোকান গুলো। এ বিষয়ে হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের ১ নং যুগ্ম মোতাওয়াল্লী বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব শেখ ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের আমি ১ নং মোতোওয়াল্লী। এই জায়গাটি হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের মালিকানাধীন চৌধুরী নিউ মার্কেটর পার্কিং ও খাস খতিয়ান ভুক্ত জায়গা। আমার বড় ভাই সে নিজে ওয়াকফ এস্টেটের অনুমতি না নিয়ে গায়ের জোরে কিছু সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে মার্কেটের সামনে থাকা পার্কিংয়ের জায়গায় বেশ কয়েকটি দোকান নির্মাণ কাজ করতেছে। সে শুধু এটা নয়, হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেট পরিচালনাধীন প্রায় ৩-৪ শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মিয়ার বাজার জামে মসজিদ ও চৌধুরী মার্কেটের কোটিকোটি টাকা লুটপাট করে খেয়েছে। যেখানে ওয়াকফ এস্টেটের লিখিত কোন অনুমতি নাই। কোন আয়-ব্যয়ের হিসাব নাই। নিজের একক স্বেচ্ছাচারিতায় যা মন চায় তা করে যাচ্ছে এ খাস খতিয়ান ভুক্ত জায়গায় । আমি নিজে বেশ কয়েকবার উপজেলা প্রশাসন কে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জন্য মৌখিক ভাবে অনুরোধ জানিয়েছি। অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়া আমি উপজেলা প্রশাসন কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল খালেক পাটোয়ারী জানান, খাস জমির উপর চৌধুরী মার্কেটের সামনেই অবৈধভাবে খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গায় দোকান নির্মাণের করার অভিযোগে তাকে মৌলিক ভাবে বেশ কয়েকবার বলা হলেও সে পুনরায় রাতের অন্ধকারে নির্মাণ কাজ চালিয়ে গেলে উপজেলা প্রশাসনে পক্ষে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অচিরেই অভিযান চালিয়ে অবৈধ দোকান ঘরগুলোও উচ্ছেদ করা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার জানান, সরকারি কোনো নিয়মনীতির বাইরে কাজ আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। জোরপূর্বক সরকারী জায়গায় দোকান নির্মাণ করার খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সরকারী জায়গায় অবৈধ ভাবে দোকান নির্মাণকারী বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.