কক্সবাজার সংবাদদাতা
টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্যকে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। হামলার শিকার মোক্তার মেম্বারের স্ত্রীর বড় ভাই জিয়া উদ্দিন বাদী হয়ে ৫ জনকে মূল আসামি ও অজ্ঞাত আরো ২ থেকে ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুরানপাড়া আনাস বিন মালেক (রা.) মাদ্রাসা সংলগ্ন জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন ওই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি মেম্বার মোক্তার আহমদ আমীর। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বিবাদীরা হলেন শামলাপুর পুরানপাড়ার মৃত সুলতান আহমদের ছেলে আব্দুল মোতালেব (৫২), তার ছেলে তৈয়ব তাহের (৩৫), আব্দুল্লাহ (৩০), শহীদুল্লাহ (২৮) ও আবুল কাশেমের ছেলে মোজাহেরুল ইসলাম (৩৫)। মামলার এজাহারে বাদী জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘শুক্রবার আমার ভগ্নিপতি মোক্তার মেম্বার আনাস বিন মালেক (রা.) মাদ্রাসা মসজিদ হতে জুমার নামাজ শেষে বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য বের হয়। এসময় জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অভিযুক্ত ও তাদের সহযোগিরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। তারা পরস্পর যোগসাজসে জড়ো হয়ে হাতে হাতুড়ি, লোহার রড, কাঠের শক্ত লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মোক্তার মেম্বারের পথ অবরোধ করে। পরে তাদের গালিগালাজের জবাব না দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে চাইলে তাকে অভিযুক্ত মোতালেবের নির্দেশে তার ছেলেরা আটকে বেদড়ক মারধার ও জখম করে। অভিযুক্ত শহীদ উল্লাহ ও তৈয়ব তাহের তাদের হাতে থাকা লোহার হাতুড়ি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে মাথায় আঘাত করলে তা মুখের বাম পাশের চোয়ালের হাড় এবং কানের উপরে লেগে খুলি ভাঙা আঘাত হয়। মোক্তার মেম্বার মাটিতে পড়ে গেলে আব্দুল্লাহ এবং মোজাহেরুল ইসলাম লাঠি নিয়ে আঘাত করতে থাকে। সেই ফাঁকে আবদুল মোতালেব মোক্তার মেম্বারের পকেটে থাকা ৩ লাখ টাকা ও জমি বিক্রির ২০ হাজার টাকাসহ মোট ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।’ বাদী জিয়া উদ্দিন আরও বলেন, ‘তারা আমার বোনের স্বামী মোক্তার মেম্বারকে মারাত্মকভাবে জখম করার পর আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার উপর এমন বর্বর নির্যাতনের বিচার চাই। একই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’ এব্যাপারে টেকনাফ থানার উপপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানতে পারি। এ ঘটনার একটি এজাহারও হাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো পড়ুন