নবনির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের সাতকানিয়া অংশে স্লিপারের সঙ্গে রেললাইনের পাত আটকে রাখার ক্লিপ খুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
গত রবিবার রাতে উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের লক্ষীবাড়ি এলাকার সামনের রেললাইন থেকে স্লিপারের সঙ্গে রেললাইনের পাত আটকে রাখার ৮/১০টি ক্লিপ খুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে হুমকির মুখে পড়েছে রেল চলাচল, যেকোনো সময়ে ঘটতে পারতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, স্লিপারের সঙ্গে রেললাইনের পাত আটকে রাখতে ক্লিপ (হাতুড়ি আকারের লোহার খণ্ড) ব্যবহার করা হয়। একটি স্লিপারের দুপাশে চারটি করে ক্লিপ থাকে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা নামলেই রেললাইনের আশপাশে মাদকাসক্তদের আনাগোনা বেড়ে যায়, রাতভর থাকে নানা বয়সী মাদকাসক্ত ও বখাটেদের আড্ডা, ফলে কে কখন কিভাবে এসব কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে বুঝার উপায় নেই, এখনই শক্ত হাতে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে অচিরেই বড় ধরনের নাশকতার কবলে পড়বে স্বপ্নের এই রেললাইন।
খবর পেয়ে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস ও সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান জানান, রেললাইন থেকে কয়েকটি ক্লিপ চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে নাশকতার উদ্দ্যেশ্যে নয় মাদকাসক্ত চোরের দল এসব ক্লিপ চুরি করে নিয়ে গেছে, ঘটনাস্থলে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, রেললাইনে যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।
অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (দোহাজারী-রামু-কক্স) মোঃ আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছেন, আজ মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রেলওয়ের প্রকল্প পরিচালক এর সাথে কথা বলেছি তাঁরা জানিয়েছেন আগামীকাল ঘটনাস্থল সহ পুরো রেললাইন রেকি (পরিদর্শন) করবেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে নাশকতার উদ্দ্যেশ্যে নয় মাদকাসক্ত চোরের দল এসব ক্লিপ চুরি করে নিয়ে গেছে।