পটিয়া প্রতিনিধি
নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে জাতীয় পতাকাবাহী গাড়ি ও পুলিশ প্রটোকল নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীকে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল পটিয়া চৌকির সিনিয়র সহকারী জজ ও নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান শেখ মো. মহিবুল্লাহ। কিন্তু তার পক্ষ হয়ে আইনজীবী ও ভাগ্নে লোকমান খান রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পটিয়া চৌকির চন্দনাইশ কোর্টের সিনিয়র জজ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান শেখ মো. মহিবুল্লাহর আদালতে হাজির হয়ে সময়ের আবেদন জমা দিয়েছেন। এদিকে, শুনানি শেষে আদালত আগামী ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ২টার মধ্যে সামশুল হককে সশরীরে হাজির হওয়ার পুন: নির্দেশ দিয়েছেন। সামশুল হকের আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন বলেন,‘সামশুল হক চৌধুরী দফতরিক কাজে ঢাকায় অবস্থান করার কারণে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে আদালতের শোকজের জবাব দিতে আজ রবিবার উপস্থিত থাকতে পারেননি। আমরা আজকে সময়ের আবেদন করেছি। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ দুপুর ২টার মধ্যে সশরীরে হাজির হওয়ার আদেশ দিয়েছেন। ’ সামশুল হক চৌধুরী এমপির ভাগ্নে লোকমান খান বলেন, জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি বিশেষ কাজে ঢাকায় থাকার কারণে আমরা তার পক্ষে শোকজের জবাব দেওয়ার জন্য বিজ্ঞ আদালতে সময়ের আবেদন করেছি। আদালত আমাদের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৫ ডিসেম্বর দুপুর ২টার মধ্যে সামশুল হক চৌধুরীকে সশরীরে হাজির হতে আদেশ দিয়েছেন। সামশুল হক চৌধুরী এমপি স্বাক্ষরিত সময়ের আবেদনে বলা হয়েছে, আপনার প্রেরিত গত ১ ডিসেম্বর কারণ দর্শানো নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী বর্তমানে মহান জাতীয় সংসদের হুইপ হিসেবে কর্মরত আছি। আমি বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ কাজে গত ২ দিন যাবৎ ঢাকায় অবস্থান করায় অদ্য ৩ ডিসেম্বর তারিখে ব্যাক্তিগতভাবে অনুসন্ধান কমিটির সামনে উপস্থিত হতে পারছি না মর্মে আগামী ৫ ডিসেম্বর তারিখ, দুপুর ২টায় ব্যক্তিগতভাবে আপনার সম্মুখে উপস্থিত হবার জন্য সময়ের অনুরোধ জানাচ্ছি। এর আগে গত ২৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করায়, ১ ডিসেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন চট্টগ্রামের পটিয়া চৌকির সিনিয়র সহকারী জজ ও নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান শেখ মো. মহিবুল্লাহ।