সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের রিট খারিজের বিরুদ্ধে আবেদন

সংসদ ভেঙে দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চেয়ে রিট খারিজের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ এ আবেদন দায়ের করেন। আগামীকাল আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

গত ২৬ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙে দিয়ে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চেয়ে রিট করা হয়। ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল এ রিট দায়ের করে।

২৭ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙে দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চেয়ে রিট শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, এই মুহূর্তে এ ধরনের রিট শুনবো না।

বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অপারগতা প্রকাশ করেন।

এর আগে ২০ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙে দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা চেয়ে করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

সেদিন রিটের পক্ষের আইনজীবী বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশনকে লিগ্যাল নোটিশ না পাঠিয়ে সরাসরি রিট দায়ের করায় হাইকোর্ট রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। এ কারণে গত ২১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। এরপর গত ২৬ ডিসেম্বর একই বিষয়ে আবার রিট দায়ের করা হয়।

প্রথমে গত ১০ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙে দিয়ে এবং সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পুনরায় তফসিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ইমাম হায়াত। রিট আবেদনে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ সচিব, মন্ত্রী পরিষদ সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) বিবাদী করা হয়েছে।

ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যান ইমাম হায়াত সেদিন বলেছিলেন, গত নির্বাচনে আমরা দেখেছি ক্ষমতাসীন সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ আসনে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রশাসন, পুলিশ ও নিজেদের সশস্ত্র লোকদের ব্যবহার করে ভোটকেন্দ্র দখল ও অন্যদের ভোট প্রদানে বাধার সৃষ্টি করেছে।

তিনি আরও বলেন, সংসদ বহাল রেখে জালিয়াতিমুক্ত নির্বাচন অসম্ভব। প্রহসনমুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের আদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছি।

চলতি বছরের ৮ মে উচ্চ আদালতের নির্দেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেয়েছে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ। ইসিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের নিবন্ধন নম্বর- ৪৬। দলটির নির্বাচনী প্রতীক আপেল।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.