বাঁশখালী প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিবদমান সম্পত্তির ট্রাকে করে পাহাড়ী মাঠি দিয়ে ভরাট করে পাঁকা স্থাপনা নির্মান করে
৮ শতক জমি প্রভাব খাটিয়ে দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
শুক্রবার ও শনিবার বিরোধীয় সম্পত্তিটি মাঠি ভরাট করে দখলে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর বাঁশখালী থানা পুলিশকে অাদালতের নিষেধাজ্ঞা আদেশের কপি সহ অভিযোগ দাখিল করে বেশ কয়েকবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করে দেয়। পুলিশ চলে যাওয়ার পর পুনরায় তারা আবার ও ভরাট কার্যক্রম চালায়।
জানা গেছে, চাম্বল ইউপির ৫ নং ওয়ার্ডের আজানী পাড়ার এলাকায় পূর্ব চাম্বল মৌজার বিএস ৪৫২৯/৪৫৩০নং দাগের ৩২ শতক জমির মধ্যে প্রায় ৮ শতক জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি ওই সম্পত্তির দাবিদার মৌলভী রুহুল কাদের বাঁশখালী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে নালিশী সম্পত্তি নিয়ে একটি মোকদ্দমা নং অপর ২৬০/১৬ করলে গত ২১ অক্টোবর ২০১৯ ইং আদালত ওই সম্পত্তিতে কোনো প্রকার স্থাপনা নির্মাণ, আকার আকৃতি পরিবর্তন না করা ও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য বাঁশখালী থানার ওসিকে বলার আদেশ দেন।
সরেজমিনে পরিদর্শন কালে দেখা যায়,
শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ট্রাকে করে মাঠি ভরাট করা হচ্ছে। সেখানে জায়গাটি ভরাট করে পাঁকা পিলার দিয়ে স্থাপনা নির্মানের কার্যক্রম চলছে। জানতে চাইলে ট্রাক ড্রাইভার এবং স্থানীয়রা জানায়, এই জায়গাটি চেয়ারম্যান ভরাট করছে। আমরা কিছুই জানি না।
অভিযোগ কারী মৌলভী রুহুল কাদের করেন, ওই সম্পত্তির প্রায় ৮ শতক জমি আমি ২০১৫ সালে আব্দুল গফুর,নুরুল কবির,শামসুজ্জামান ও ছাবের আহমদের ওয়ারিশ থেকে ২ টি দলিল মূলে ক্রয় করেছি। উক্ত জায়গায় স্থানীয় চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের কুনজর পড়ে। সে আমাকে হত্যা ও খুন করার হুমকি দমকি দিয়া জোর পূর্বক দখল করার চেস্টা চালাইলে, আমি বাঁশখালী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করি। উক্ত মামলা বিচারাধীন চলাকালে বিজ্ঞ আদালতের স্থিতিবস্থায় বজায় রাখার আদেশ অমান্য করে জোর পূর্বক আমার জায়গাটিতে পাহাড়ী মাঠি দিয়ে ভরাট করে এবং প্রতিনিয়ত আমাকে হত্যার হুমকি দমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের সাথে বেশ কয়েকবার মুটোফোনে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।