বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সঙ্গে বাজে আচরণ, নার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ

 

মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা না দিয়ে অসদাচরণের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে শান্তা সেন নামের এক নার্সের বিরুদ্ধে। দিদারুল আলম নামের এক ভুক্তভোগী রোগী বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্ত শান্তা সেন ২০১৮ সালের ১লা জুলাই
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মিডওয়াইফ হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী দিদারুল আলম উপজেলার বৈলছড়ী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তার ছোট ভাই বিষ পান করার পর চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা শেষে কর্তরত চিকিৎসক আমার ছোট ভাইকে আন্ত বিভাগে ভর্তি করায়। ভর্তি থাকা অবস্থায় স্যালাইন শেষ হয়ে যাওয়াতে স্যালাইনের মাঝে রক্ত উঠলে আমি ভয় পেয়ে দ্রুত কর্তব্যরত নার্সের রুমে বেশ কয়েক বার উপস্থিত হয়ে বিষয়টি খুলে বলি। কিন্তু বেশ কয়েকবার বলার পরও উক্ত নার্স আমার কথা শুনে কোন প্রকার কর্নপাত না করে আমাকে উক্ত স্যালাইন বন্ধ করে দিতে বলেন। তখন আমি ওনাকে বলি যে, আমি যদি বন্ধ করতে পারতাম তাহলে আপনার শরণাপন্ন হতাম না, এই কথা আমি বলার পর ওনি আমার উপর রাগান্বিত হয়ে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন।

ভুক্তভোগী রোগীর বড় ভাই দিদারুল আলম বলেন, ‘ আমার ছোট ভাই বিষ পান করার পর চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা শেষে কর্তরত চিকিৎসক আমার ছোট ভাইকে আন্ত বিভাগে ভর্তি করায়।

ভর্তি থাকা অবস্থায় স্যালাইন শেষ হয়ে যাওয়াতে স্যালাইনের মাঝে রক্ত উঠলে আমি ভয় পেয়ে দ্রুত কর্তব্যরত নার্সের রুমে বেশ কয়েক বার উপস্থিত হয়ে বিষয়টি খুলে বলি। কিন্তু বেশ কয়েকবার বলার পরও উক্ত নার্স আমার কথা শুনে কোন প্রকার কর্নপাত না করে আমাকে উক্ত স্যালাইন বন্ধ করে দিতে বলেন। তখন আমি ওনাকে বলি যে, আমি যদি বন্ধ করতে পারতাম তাহলে আপনার শরণাপন্ন হতাম না, এই কথা আমি বলার পর তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন।’ পরে আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরেও সেবা দেননি নার্স শান্তা সেন।’

 

জানতে চাইলে অভিযুক্ত মিডওয়াইফ শান্তা সেনের সাথে বেশ কয়েকবার মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সব্যসাচী নাথ জানান, ঘটনার বিষয়ে রোগীর অভিভাবকের পক্ষ থেকে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.