রাউজান থানার নোয়াজিশপুর চিকদাইর সড়কে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে সুলাল চৌধুরী হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এইচ এম শফিকুল ইসলাম আদালত এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মিঠু চৌধুরী প্রকাশ মিন্টু চৌধুরী, সুমন চৌধুরী, মো. দেলোয়ার হোসেন ও এরশাদ হোসেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন, সুদ্বীপ চৌধুরী প্রকাশ সঞ্জিত চৌধুরী।
চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ১৫ জনের সাক্ষ্য প্রমাণে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে সুলাল চৌধুরীকে (৫৫) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মিঠু চৌধুরী, সুমন চৌধুরী, মো. দেলোয়ার হোসেন ও এরশাদ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও সুদ্বীপ চৌধুরীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি মো. ইলিয়াস প্রকাশ ইলুকে খালাস দিয়েছে আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. দেলোয়ার হোসেন ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সুদ্বীপ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক মিঠু চৌধুরী, সুমন চৌধুরী ও এরশাদ হোসেনের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা মূলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৫ জুন রাতে রাউজান থানার নোয়াজিশপুর চিকদাইর সড়কে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে সুলাল চৌধুরী বাড়ি ফেরার সময় কুপিয়ে খুন করে মরদেহ ডোবায় ফেলে দেয় আসামিরা। এ ঘটনায় সুলাল চৌধুরীর ছেলে সৌরভ চৌধুরী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হলে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।