শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর সারাদেশে হিন্দুদের উপর হামলা, হত্যা, বাড়িঘর ও মন্দিরে আগুন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ হিন্দু জাগরণ মঞ্চ – চট্টগ্রাম শাখা।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকাল ৪টা থেকে এই সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে লাখো হিন্দু ছাত্র জনতার প্রতিবাদে মুখর হয়ে যায় আন্দরকিল্লা থেকে বৌদ্ধ মন্দির, চেরাগী থেকে জামালখান মোড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে সমাবেশ। এতে সমাবেশ স্থল রূপ নেয় জনসমুদ্রে। এসময় মুহুর্মুহু স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে নগরের চেরাগী চত্বর।
সমাবেশে উপস্থিত অনেকের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা এবং বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সম্বলিত প্লেকার্ড এবং মুখে কালো কাপড়।
সমাবেশে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সাংবাদিক প্রদীপ কুমার ভৌমিক, শিক্ষক ও বাগেরহাটের সদর থানার স্কুল শিক্ষক মৃনাণ চক্রবর্তীকে হত্যা এবং রংপুর সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর হারাধনের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাব জানানো হয়।
৫ আগস্ট থেকে ৯ আগস্ট পযন্ত ৬১ জেলায় সকল হামলা ও লুটপাটের বিচার করারও দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
সমাবেশে ঢাকার শাহবাগের সাথে মিল রেখে ৮ দফা দাবি প্রণয়ন করা হয়। এর আগে গতকাল দেশব্যাপী হামলা চিত্র প্রকাশ করছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। ৮ দফা দাবি না মানলে সামনে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেন সমন্বয়রা। দাবিগুলো হল-
১) সংখ্যালুঘ নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল গঠন করে। দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুর্নবাসন করতে হবে।
২) দ্রুত ‘সংখ্যালুঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে।
৩) সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে।
৪) হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান কল্যাণ ট্রাস্টগুলো ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে।
৫) দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬) প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হোস্টেলে সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
৭) সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড আধুনিকায়ন করতে হবে।
৮) শারদীয় দুর্গা পূজায় ৫ দিন ছুটি দিতে হবে।