মসজিদ কমিটির বিরোধ:অসুস্থ যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

সাতকানিয়ার এওচিয়ার দেওদীঘি

সৈয়দ আককাস উদদীন 

সাতকানিয়ায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে রাতের আধারে এক যুবককে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করার অভিযোগ ওঠেছে।

৭ জুন (শনিবার) দিবাগত রাত ১২ টার সময় উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দেওদীঘি ফয়েজুর রহমান সওদাগরের বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম মো: দিদারুল আলম (৪৮)। তিনি উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দেওদীঘি ফয়েজুর রহমান সওদাগরের বাড়ির মৃত এজাহার মিয়ার ছেলে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের দেওদীঘি কেন্দ্রীয় শাহী মসজিদ কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে শনিবার রাতে একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দিদারের বাড়িতে হামলা করে দিদারকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে ও বুকের উপর পা দিয়ে চাপ দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা চলে যায়।

নিহত দিদারের ছোট ভাই মো: শহীদ জানান, শনিবার রাতে বাড়িতে আমার ভাতিজা মো. সোহেলের বিয়ে নিয়ে বাড়ির সবাই বৈঠক করছিলাম।

এ সময় হঠাৎ  সারোয়ার, সাইফুল, ওসমান, তাহের, বেলাল, হানিফ, বাদশার নেতৃত্বে শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমার ভাই দিদারকে প্রথমে তাহের লোহার রড দিয়ে আঘাত করে মাঠিতে ফেলে দিলে বেলাল তার বুকের উপর পা দিয়ে আঘাত করতে থাকে। পরে সারোয়ার বুকের উপর বসে থেকে মৃত্যু নিশ্চিত করে এলাকা থেকে চলে যায়।

আমার ভাই মসজিদ কমিটিতেও নেই। তাছাড়া তিনি নিরীহ ও অসুস্থ লোক। তার দুইটা মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।আমার ভাইকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন,
সরওয়ার আজম (৫১), নাজিম উদ্দিন (৩৫), নুরুল আজিম প্রকাশ বাদশা (৩৪) ও সাইফুল আজম (৪২)।

গ্রেফতারকৃতরা সবাই আপন ভাই এবং এওচিয়া ইউনিয়নের দেওদীঘি ফয়েজুর রহমান সওদাগরের বাড়ির মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে সবাই।

এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনায় সুনির্দিষ্ট ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনের নামে আজ রবিবার থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

লাশ ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তাছাড়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।

এদিকে স্থানীয়রা জানান এই মসজিদকে কেন্দ্র করে ইতিপূর্বে বেশকয়েকটা ফৌজদারি মামলাও হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.