মব দিয়ে সরকার গড়া যায়, কিন্তু টিকিয়ে রাখা যায় না-সাংবাদিক আনিস আলমগীর

৩২ নম্বর ভাঙ্গার মধ্য দিয়ে সরকারি ভাবে মবকে দেয়া হয় স্বীকৃতি -

 

বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ও সাহসী সাংবাদিক আনিস আলমগীর ২সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) তার নিজস্ব ভেরিফাইড পেজে এই মন্তব্য করে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন।

নিচে পাঠকদের জন্য হুবহু তোলে ধরা হলো-

তিন ভিউ–ব্যবসায়ী, ট্যাগ–সন্ত্রাসী বিদেশে বসে দেশে তাদের পালিত ফলোয়ার–মুরিদদের দিয়ে মব সন্ত্রাস চালিয়ে ড. ইউনূসের সরকারকে ডুবিয়েছে। তাকে বানিয়েছে মবের জনক। ৩২ নম্বর ভাঙা দিয়ে মবের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি শুরু হয়েছিল, যার শেষ কোথায়—কেউ জানে না।

অথচ ওরা এখন ড. ইউনূসের ব্যর্থতার দায় তার ঘাড়েই চাপিয়ে যৌথ টকশো করছে—বলছে, ইউনূস নিজেই নাকি সব ডুবিয়েছেন। বাহ বাহ!

ওদের কল্পনা ছিল, ৫ আগস্টের পরে জনতা স্পেশাল বিমান পাঠিয়ে নিউইয়র্ক আর প্যারিস থেকে ওদের নিয়ে আসবে, তারপর অন্তর্বর্তী সরকারে ইউনূস উপদেষ্টা বানাবে—কারণ তাদের বিশ্বাস, জাতির জন্য তারা “বাল ছিঁড়ে টাল বানিয়েছে”!

শেখ হাসিনা দেশে নেই, তারপরও দেশে ফেরার সাহস নাই পলাতক গুজববাজদের। দেশটাকে ধ্বংস করে এখন নোংরা গালিবাজদের ভিউ–ব্যবসা আবার জমাতে হবে; ইউনূস থেকে সেনাপ্রধান, রাষ্ট্রপতি থেকে রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের পর্যন্ত হুমকি দিতে হবে। ইউটিউব–ফেইসবুক–সোশ্যাল মিডিয়াকে তাদের নোংরা ভাষায় দুর্গন্ধযুক্ত করে তুলতে হবে। পাবলিককে বোকা বানাতে হবে।

আর সেই দুর্গন্ধযুক্ত বয়ান কার্ড বানিয়ে প্রচার করবে বসুন্ধরার দৈনিক কালের কণ্ঠ—কারণ তা না করলে আকবর সোবহানের বিরুদ্ধে এরা ঘেউ ঘেউ শুরু করবে, যিনি শেখ হাসিনার সাথে কবরে যেতে চেয়েছিলেন।

হতাশার সাগরে ডুবে তারা সর্বত্র শেখ হাসিনার দোসর খুঁজছে, অথচ শেখ হাসিনার বড় বড় দোসরেরাও ওদের মতোই বিদেশে পালিয়ে আছে। কয়েকদিন পরে হয়তো অবস্থা এমন হবে—রাস্তার কুকুর এদের দেখে ঘেউ ঘেউ করলেও ওরা বলে উঠবে: “স্বৈরাচারের দোসর, ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর!” তারপর ডাক দেবে—এর বিরুদ্ধে মব লাগাও।

৫ আগস্ট না হলে বুঝতামই না, ইতালির একনায়ক বেনিতো মুসোলিনির “ফ্যাসিবাদ” এত সস্তা জিনিস হতে পারে!

নিশ্চয়ই এখন অনেকেই বুঝে গেছেন, ফ্যাসিবাদের দোহাই যারা দেয়, তারাই আসল স্বৈরাচারের কারিগর। মব দিয়ে সরকার গড়া যায়, কিন্তু টিকিয়ে রাখা যায় না।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.