নিষেধাজ্ঞার শোকজের জের- বাদীর হাতে খুন বিবাদী, এবার বাদীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আদেশ

সাতকানিয়া সিনিয় সহকারী জজ আদালত এই আদেশ দেন

সৈয়দ আককাস উদদীন 
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় একটি দেওয়ানী মামলায় বাদীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করায় এবং বাদীকে আদালত কর্তৃক শোকজ করায় ৬ই সেপ্টেম্বর নুরুল কবির নামে এক  বিবাদীকে প্রকাশ্যে দিনেদুপুরে হত্যা করেন দেওয়ানী আদালতের বাদীগণ।
১৬ই সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সাতকানিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারাধীন মামলা অপর বিভাগ নং ৯৪৩/২০২১ মামলায় বাদীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেন বলে নিশ্চিত করেছেন সাতকানিয়া আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ- সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সাতকানিয়া আদালতের সরকারি আইনজীবী এডভোকেট রাশেদুল ইসলাম রাশেদ।
সরকারি আইনজীবী রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বলেন,আমার মক্কেল নুরুল কবির গত ২৬শে আগস্ট অত্র মামলার বাদী আব্দুল মজিদ ও শহিদুল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে মৃত ইয়াকুব আলীর পুত্র কালামিয়া  সম্পত্তির ওয়ারিশ দাবী করে একটি নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত আনায়ন করেন।
উক্ত দরখাস্তে আব্দুল মজিদ গংয়ের পুকুর লাগিয়ত ও জোরপূর্বক বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের কথা উল্লেখ ছিলো।
ফলে আদালত ওদিনই বাদী মজিদ গং ও নেয়াজু শহিদদের ১৫দিনের শোকজ প্রদান করেন।
দেওয়ানী আদালতের শোকজ পেয়ে বাদীরা তেলেবেগুনে জ্বলে শোকজের ১১দিনের মাথায় আমার মক্কেল অত্র মামলার বিবাদীকে সরাসরি টোকাই উল্লেখ করে হত্যা করেন।
এবং বিবাদী নুরুল কবিরকে হত্যার আগেরদিন কিন্তু মাননীয় সিনিয়র সহকারী জজ আদালত স্থানীয় পরিদর্শনও করিয়ে নেন।
সবমিলিয়ে আমি আর সিনিয়র আইনজীবী মাহমুদুল হাসান সাহেব মাননীয় সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে হত্যা ও পুকুর লাগিয়ত এবং জোরপূর্বক বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের বিষয়টি নথি পুটআপ দিয়ে উপস্থাপন করলে আদালত দুই পক্ষের আইনজীবীদের দীর্ঘ শুনানিতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।
সরকারি আইনজীবী রাশেদুল ইসলাম আরো বলেন, অত্র মামলায় বাদীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার অর্থ এটা দাঁড়ায় যে বাদী মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে এই মামলা আনায়ন করেছেন এবং বিবাদী নুরুল কবিররা যে কালা মিয়া পিতা মৃত ইয়াকুব আলীর অংশের দাবীদার ও স্বত্বের মালিক সেটাই প্রমাণিত হয়েছে।
সাধারণত বাদীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আদেশ হয়না দেওয়ানী মামলায় কিন্তু এই মামলায় বাদীর স্বত্ব নেই সেটাই প্রতীয়মান হয়েছে।
এদিকে অপর ৯৪৩/২১ মামলার অপর বিবাদী মো:হারুন বলেন-কালা মিয়ার সম্পত্তির ওয়ারিশ যে আমরা সেটা আব্দুল মজিদও আদালতে স্বীকার করেছে আরজিতে, ফলে আজকে আমরা আদালত থেকে দীর্ঘ শুনানি শেষে বাদীর বিরুদ্ধে সরাসরি নিষেধাজ্ঞার আদেশ অর্জন করি আলহামদুলিল্লাহ।
এখন থেকে সুয়ারবাপের বাড়ির কেউ ব্রিকফিল্ডের ১৭গন্ডা জমি এবং দেওদীঘি এলাকার দীঘির ভেতর ২গন্ডা ও কালামিয়ার পুকুরের অংশ ও পাতা ভিটার জায়গা কেউ ভোগ দখল করতে পারবেনা।
এবং আমাদের এলাকার পার্শ্ববর্তী একজনকে পুকুর লাগিয়তের ব্যাপারে খুনী শহিদুল ইসলাম ও নেয়াজুরা তৎপরতা দেখিয়েছিলো আজকে কালা মিয়া পিতা মৃত ইয়াকুব আলীর সম্পত্তিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া মানে তার অংশের সবগুলোতে আমাদের মালিকানা স্পষ্ট। 

আশাকরি মামলা নিষ্পত্তিতে বিষয়টা আরো স্পষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ।  

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.