আ ন ম সেলিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে-
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর ছাড়াই ব্যালট পেপার ও মোচনীয় কালি দ্বারা ভোট গ্রহনের অভিযোগ এনে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় নির্বাচন কমিশন অথর্ব ও মেরুদণ্ডহীন বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি আরো বলেন,এই ধরনের কারচুপি কোনো অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না। কালি মুছে যায় এমন কালি কেন চাকসু প্রশাসন ব্যবহার করবে?বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি ভবন কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
একই অভিযোগ করেছেন ছাত্র শিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থী মো: ইব্রাহিম হোসাইন রনি। তিনি বলেন,আমাদের এজেন্টরা জানিয়েছেন, আইটি ভবনের ২১৪ নম্বর কক্ষে প্রায় ১৫–২০টি ব্যালট পেপার প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর ছাড়া বাক্সে ফেলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রটির সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার অধ্যাপক ড. ল খালেদ রউফ বলেন, “মোট ১২টি ব্যালটে এমন ভুল হয়েছে। নতুন পোলিং এজেন্টরা অসাবধানতাবশত এমনটি করেছে। তবে এখানে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে, সবকিছু স্বচ্ছভাবে হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশন ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি পর্যালোচনা করবে।
এদিকে, ‘রেভ্যুলেশন ফর স্টেট অব হিউম্যানিটি’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী কেফায়েত উল্লাহ অভিযোগ করেছেন, ভোট দেওয়ার পর অনেক ভোটারের আঙুলের কালি মুছে যাচ্ছে। তার দাবি, “এটি কারচুপির ফাঁদ হতে পারে।”
এই বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, “বাজারে আমরা স্থায়ী কালি পাইনি। তবে কালি মুছে গেলেও কারচুপির সুযোগ নেই।”