সাতকানিয়া পিডিবি:এনালগ সরিয়ে- নতুন মিটারে ডিজিটাল ডাকাতি, স্থানীয় গ্রাহকদের গচ্চা ২২কোটি টাকা
সাতকানিয়া পিডিবি অফিসের বিরুদ্ধে প্রিপেইড মিটার বানিজ্যের অভিযোগ
সৈয়দ আককাস উদদীন
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পিডিবি(বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র) এর অধীনে এনালগ মিটার সরিয়ে প্রিপেইড মিটার (কার্ড মিটার)বসাকে কেন্দ্র করে আর্থিক লেনদেনের মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠেছে প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, চলতি বছরের আগস্ট থেকে সাতকানিয়া পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে সাতকানিয়া পিডিবি(বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র) এর অধীনে প্রিপেইড মিটার লাগানোর প্রজেক্ট শুরু হয়েছে , যা চলতি বছরের ডিসেম্বরে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা।
এনালগ মিটার সরিয়ে কর্তৃপক্ষ একদম বিনা পয়সায় গ্রাহককে প্রিপেইড(কার্ড) মিটার সংযুক্ত করে দেওয়ার স্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও পুরাতন থেকে নতুন কার্ড মিটারে সংযুক্ত করার সময় গ্রাহক থেকে ২থেকে ৩হাজার কখনো কখনো ১০হাজার করেও নেয়ার গুরুতর আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠেছে সাতকানিয়া পিডিবির (বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র) এর প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের ইনচার্জসহ আবাসিক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাতকানিয়া পিডিবির এনালগ মিটার গ্রাহক মোট ১৫হাজার কিন্তু প্রিপেইড মিটার প্রজেক্ট কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে ৮হাজার গ্রাহককে কার্ড মিটার অর্থাৎ প্রিপেইড মিটারের আওতায় নিয়ে এসেছেন। যে ৮হাজার গ্রাহককে এনালগ থেকে স্থানান্তর করে নতুন কার্ড মিটারে সংযুক্ত করেছেন ওই ৮হাজার গ্রাহক থেকে গড়মিলিয়ে অন্তত ১৬কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
শুধু এখানেই শেষ নয়, ১৫হাজার গ্রাহকদের অনেককেই লোড বৃদ্ধি (কিলো বৃদ্ধি)করার জন্য দিতে হয় প্রতি কিলোতে ১হাজার বা দেড় হাজার করে এবং নতুন সংযোগে ফি ও খুঁটি বসাতে দিতে হয় বিশাল এমাউন্ট এভাবে অন্তত ওই খাত থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন ৭/৮কোটি টাকা।
এখানেই শেষ নয়, ডিজিটাল মিটার প্রকল্পটির ডিজিটাল ডাকাতির আরো একটি বড় খাত সাতকানিয়ার পাহাড়ী অঞ্চল, যেখানে খুটি ও নতুন সংযোগের কথা বলে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
এদিকে নতুন ডিজিটাল (প্রিপেইড মিটার)লাগাতে কত টাকা করে নেয়া হচ্ছে বলে প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে সাতকানিয়া পিডিবি(বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র) এর আবাসিক প্রকৌশলী শোভন ভৌমিক বলেন,এটা সরকারি ভাবে একদম ফ্রী এটাতে কোন টাকা পয়সা নেয়া হয়না।
এবং প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে কোন ধরণের টাকাপয়সা বা আর্থিক লেনদেন না করার জন্য ইতিমধ্যে আমি সবজায়গায় মাইকিং করছি এরপরও কেউ দিয়ে থাকলে যদি আমার কাছে অভিযোগ আসে তা আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।এবং লোড বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও কোনধরনের টাকা পয়সা নেয়া হচ্ছে বলে আমি জানিনা।
এদিকে সরকারি ভাবে সম্পূর্ন ফ্রী কার্ড মিটার লাগাতে টাকা কেন নেয়া হচ্ছে বলে প্রশ্ন করা হয় প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের ইনচার্জ রঞ্জু আহমেদ থেকে তখন তিনি বলেন,একদম এক টাকাও নেয়া হচ্ছেনা তবে ভোয়ালিয়া পাড়ার ওদিকে ২/১জন থেকে নেয়া হলে আমার কানে আসলে তা আমি সাথে সাথে ফেরত দিয়ে দিই।
তবুও আমি বিষয়টা খেয়াল রাখবো যাতে আমার এই প্রকল্পের সাথে কোন ধরনের আর্থিক লেনদেন না হয়।