নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সাতকানিয়া উপজেলায় বাজালিয়া ইউনিয়নের বড়দুয়ারা পূব শত্রুতার জেরে মারামারি ঘটনা ঘটে।
গত ১৭ই মে(সোমবার)সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়ার ৮নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য জসীমের বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে।
তবে উভয় পক্ষ থেকে সাতকানিয়া থানায় পালটাপালটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সাতকানিয়া থানায় জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে মোঃ আলমগীর(৩০)কে প্রধান আসামি করে, সোলেমান বাঁশি(৫৫),বাবলু বড়ুয়া(৩২),মোঃফরহাদ(২৬),চারজন কে বিবাদী করে সাতকানিয়াতে থানাতে অভিযোগ করেন।
এদিকে জসিমদের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ দাখিল করেছেন সোলেমান বাঁশি,তবে গত ১৭ই মে(সোমবার)এর হামলায় ও আহত হন সোলেমান বাঁশি।
সেই হামলায় আহতের অভিযোগ টেনে বাজালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শহীদুল্লাহ চৌধুরীসহ মোট ১০জনের বিরুদ্ধে সাতকানিয়া থানায় অভিযোগ করেন সোলেমান বাঁশি।
এই বিষয় নিয়ে তথ্য অনুসন্ধান গেলে দেখা যায়,দীর্ঘ এক বছর পূর্বে তৌহিদকান্ডের সংঘটিত বিষয়ের জেরে জসীমদের বাড়ির সামনে দিয়ে সোলেমান বাঁশি হেটে গেলেই জসীম মেম্বাররা হামলা চালায়, পরে জসীমদের বাড়ির সামনে সোলেমান বাঁশির এক আত্বীয়ের বাড়িতে অবস্থান নেয় পরে সাতকানিয়া থানার এএসআই জিহাদ গিয়ে উদ্ধার করে সাতকানিয়া হাসপাতালে নেয় চিকিৎসার জন্য।
এদিকে অভিযুক্ত জসীম বলেন,আমি ইউপি সদস্য হিসেবে বড়ুয়া পাড়ায় ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ে গেলে উল্টো সোলেমান বাঁশির ছেলেরা আমাকে অপমান করে আমরা না।
অথচ সোলেমান বাঁশিসহ আমার ভাতিজার হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী তারা জামীনে বের হয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করছে।
সোলেমান বাঁশিকে আহত করার পরে আবারো কেন বাড়িতে গিয়ে লুঠপাট ও ভাঙচুর করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন আমরা ভাঙচুর চালায়নি তবে হামলা হয়েছে এমনটা ইঙ্গিত দেন,পরে মারধরের বিষয়টা স্বীকার করলেও ভাংচুরের কথা অস্বীকার করে জসীম।
সোলেমান বাঁশির বাড়িতে যাওয়ার জন্য অনুসন্ধানী টীমকে অনুরোধ জানালে , টীম সোলেমান বাঁশির বাড়িতে গেলে সেখানে বেশ কিছু আসবাব পত্র, দরজা টেলিভিশনসহ কাঁচের কিছু গ্লাস ভাংচুর অবস্থায় দেখা যায়,এবং জসীম মেম্বাররা মারধরের পরেই হামলা চালিয়েছে বলে গনমাধ্যমকে বলেন সোলেমান বাঁশির স্ত্রী।
এদিকে স্থানীয় চকিদার নুর মোহাম্মদ বলেন, সোলেমান বাঁশিকে মারধর করা হয়েছে এটা সত্য তবে সোলেমান বাঁশির বাড়ির হামলার বিষয়ে এই এলাকার কেউ জানেনা।
আহত সোলেমান বাঁশিকে সাতকানিয়া থানার এএসআই জিহাদ এখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এর বেশী কিছু আমি জানিনা।
এদিকে সাতকানিয়া থানার এএসআই জিহাদ বলেন,আমি আর এস আই নজরুল স্যার গেছিলাম উদ্ধার করার মত আসলে তেমন কিছু নেই,তবে সোলেঁমান বাশিঁকে মারছে কিন্তু তেমন না, তেমন না বলছি ওই কারণে রক্তপাত হয়নি, তবুও ভেতরে কোন আঘাত আছে কিনা ডাক্তার ভালে জানবে।
এদিকে হামলায় আহত সোলেমান বাঁশি বলেন,১৫/২০জনে ধরে আমাকে বেদড়ক মারধর করেন।
স্থানীয় আওয়ামীলীগনেতা সোলেঁমান বাশিকে মারধরের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী সত্যতা স্বীকার করে বলেন,মারছে এটা চরম সত্য তবে বড় ধরনের অঘটন ঘটেনি।
উল্লখ্যঃসোলেমান বাঁশি বাজালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক