একদিনে ২৬ জনের মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে ২৬ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ হিসাব গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে আজ শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৫০৪ জন।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয় ৩৬ জনের। আগের দিন নতুন আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ৪৫৭ জন। একদিনে করোনায় শনাক্ত বাড়লেও মৃত্যু কমেছে।

আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ২৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ২২।

দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮। আর দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩১০।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৫২৯ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৬ জনের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ আর ৭ জন নারী।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে।

এ বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। মার্চের প্রথমার্ধেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের ওপরে চলে যায়। বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৬ মার্চের বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যু খবর দেওয়া হয়, সেখানে এক মাস পর ২৫ এপ্রিলের বুলেটিনে ১০১ জনের মৃত্যুর কথা জানায় সরকার।

করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে দেশে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনো বহাল। এই বিধিনিষেধে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যু কমেছে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.