ঈদগাঁও প্রতিনিধি:
করোনার ফলে দীর্ঘকাল ধরে বন্ধ সরকারি – বেসরকারি স্কুল- মাদরাসা ও কিন্ডারগার্টেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা প্রতি মাসে বেতনের সরকারি অংশ যথানিয়মে পেলে ও কিন্ডারগার্টেনগুলির অবস্থা শোচনীয়।
সম্পূর্ণ শিক্ষার্থীদের বেতন নির্ভর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা দেড়বছর ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছে। শিক্ষকরা না পারছে কারো কাছে হাত পাততে, পাচ্ছেনা কোন প্রণোদনা।
এ অবস্থা দীর্ঘায়িত হলে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে বৃহত্তর ঈদগাঁওর প্রায় কিন্ডার গার্টেন,ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সাংস্কৃতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে সকল কিন্ডার গার্টেনে অধ্যয়নরত হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে সকল কিন্ডারগার্টেনের অধিকাংশ শিক্ষক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশায় শিক্ষকতা পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় ঝুঁকে পড়েছে। অনেকে পেশা টিকিয়ে রাখার প্রাণান্ত চেষ্টায় সুদিনের আশায় প্রহর গুণছে।
কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁও’র স্বনামধন্য কিন্ডারগার্টেন অরবিট মডেল স্কুল, দারুল ফাতাহ একাডেমী, ঊষা আর্টস ইনস্টিটিউট, ঈদগাহ প্রি ক্যাডেট স্কুল, ঈদগাঁহ ইন্টান্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ, পোকখালী আইডিয়েল স্কুল, আইডিয়াল ইনস্টিটিউট নতুন অফিস, চৌফলদণ্ডী সবুজবাগ মডেল স্কুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছৈয়দ আহমদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, স্কুল, এড.মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়, পালাকাটা ক্যাডেট মাদরাসা, জালালাবাদ পাবলিক স্কুল, আবু বকর (রাঃ) ইনস্টিটিউট, ইসলামপুর এস কে ইন্টান্যাশনাল স্কুলসহ বহু কিন্ডারগার্টেনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে।
ঈদগাঁওর কিন্ডারগার্ডেনের এক শিক্ষক জানান, গত একবছর ধরে আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বেতন ভাতাহীন। স্কুল চললে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন দিয়ে শিক্ষকের বেতন পরিশোধ করতে পারি। কিন্তু শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে না পারলে বেতন কে দেবে? স্কুলগৃহের ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, নাইটগার্ডের বেতন দিচ্ছি ঋণের টাকায়। দিনদিন ঋণের পরিমাণও বেড়ে যাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে স্কুল আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যাবে।
পোকখালীর আরেক শিক্ষক জানান, দীর্ঘকাল স্কুল বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষকরা যেমন অর্থনৈতিক দৈন্যদশায় পড়েছে তেমনি স্কুলে শত শত শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
এমন অবস্থা দীর্ঘায়িত হলে কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকায় রয়েছে। জাতীয় স্বার্থে সরকার ঐ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের দাবী সকলের।
চট্টগ্রাম সংবাদ/জাই