অনলাইন,ডেস্কঃ
চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলি থানাস্থ ১০ নং উত্তর কাট্টলীতে রাজাকার শাহ আলমের সন্তান ১০ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ আল মোমিনের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট সাগরিকার শিল্পাঞ্চল এলাকা।
গত ২৪ শে মে অলংকারস্থ সাগরিকা শিল্পাঞ্চল এলাকায় চাঁদাবাজি, মারধর ও হুমকি প্রদক্ষিন করে দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়,বিগত কয়েকমাস যাবত চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা মনোয়ার উল আলম চৌধুরী নোবেল এর নেতৃত্বে প্রতিটি দোকান থেকে চাঁদা নেওয়া বন্ধ করা হয়েছিল।হঠাত করে আজ ১০ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ আল মৌমিন দলবল নিয়ে প্রত্যেক দোকানে গিয়ে প্রতিমাসে ৪ হাজার টাকা করে চাঁদা দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসে এবং দোকানিরা আতংকে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়।এর থেকে পরিত্রান পেতে প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন জানান দোকানিরা।
রাজাকারের সন্তান কিভাবে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি হয় এমন একপ্রশ্নের জবাবে আকবরশাহ থানা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি সুলতান আহমদ চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন,এই কমিটি সম্পর্কে আমার কোন কিছু জানা নেই এমন মরহুম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও বিষয় জানত না বলেন তিনি।এই কমিটি নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত প্রশ্নের সম্মুখিন হচ্ছি।
একনজরে রাজাকারের সন্তান শাহ আল মোমিন এর পরিবার সম্পর্কে জেনে নিইঃ
শাহ আল মোমিন এর বাবা শাহ আলম,তিনি ১৯৭১ সালে যুদ্ধের পরবর্তি সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা বর্তমান আকবরশাহ থানা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি সুলতান আহমেদ চৌধুরী’র নিকট অস্ত্র জমা দেন এবং তার বাবা স্বাধীনতার পরবর্তিতে কুয়েত বিএনপির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।এদিকে শাহ আলম মোমিনের আপন ভাই ২০১৮ সালে ডিসেম্বর মাসে সংসদ নির্বাচনে বিএনপির হয়ে সহিংসতা করতে গিয়ে ইসহাক কাদের চৌধুরী সহ গোপন বৈঠক থেকে তাদের আটক করা হয় এবং বেশ কিছু দিন কারাবরণও করেন।
সুতরাং বিশিষ্ট রাজনীতিবিদরা বলেন একজন রাজাকারের সন্তান কিভাবে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি হয় তা আমাদের বুঝে আসে না, যা সম্পুর্ন আমাদের ব্যর্থতা এবং আমরা অতিশীঘ্রই চাই এই কমিটি বিলুপ্ত করা হোক।
এদিকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ এর সাধারন সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর মুঠোফোনে বলেন,আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হলাম,আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি যদি এমন কর্মকান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততা পাই তাহলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।