শেখ হাসিনা যতদিন আছে, ততদিন ক্ষমতায় আছি—চট্টগ্রামে হানিফ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, সারাদেশে আওয়ামী লীগের কিছুটা হলেও সাংগঠনিক দুর্বলতা চোখে পড়েছে। টানা ১২ বছর ক্ষমতায় থাকার কারণে আমাদের অনেকের মাঝে আয়েশি মনোভাব চলে এসেছে।

তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন আছে, ততদিন ক্ষমতায় আছি। ক্ষমতায় থেকে সংগঠন দুর্বল বা সবল বুঝা যাচ্ছে না। যার কারণে সংগঠনের দিকে সবার নজর একটু কম। যার ফলে অনেক জেলায় দেখেছি ১৫ ও ২০ বছর হয়ে গেছে, কমিটির কোনও পরিবর্তন নেই। সংগঠনের যে কার্যপদ্ধতি সেটাও কোন রকমে চলছে।

রোববার (২০ জুন) দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, প্রতি তিন বছর পর পর সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর মূল লক্ষ্য হচ্ছে সংগঠনকে শক্তিশালী করা। যারা কর্মঠ ও যোগ্য তাদের নেতৃত্বে নিয়ে আসা এবং দুর্বল বা কাজ করতে যাদের আগ্রহ নেই, তাদের ধীরে ধীরে পিছনের কাতারে নিয়ে যাওয়া।

সম্মেলন যদি না হয় তাহলে যোগ্য নেতাদের মূল্যায়ন হওয়ার সুযোগ থাকে না। চট্টগ্রামে বহু নেতা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দেওয়ার মতো, কিন্তু আপনাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা বা নিষ্ক্রিয়তার কারণে মূল্যায়ন হচ্ছে না। প্রতি তিন বছর পর পর সম্মেলন হলে যোগ্য নেতৃত্ব চলে আসবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ডিসেম্বরে জেলা পর্যায়ের সম্মেলনের উদ্দেশ্য নিয়ে মাঠে নেমেছি। সে লক্ষ্য নিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা সম্মেলন করবো। আমরা মহানগরে প্রতিটি ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানার সম্মেলন আগামি ডিসেম্বরের মধ্যে করতে চাই। সেটা করলে আপনাদের মধ্যে অনেক নেতা আছেন, যারা যথাযথ মূল্যায়ন বা পদোন্নতি পাননি, তারা মূল্যায়ন পাবেন। সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনে গতিশীলতা আসবে। মূল্যায়ন হওয়ার সুযোগ আসবে। আমরা কাউকে চাপিয়ে দিতে চাই না। আমরা একজন অপরজনের সহকর্মী ও সহযোগী হিসেবে কাজ করতে চাই। আপনাদের সহযোগীতা দিতে এসেছি। সহায়তা নিয়ে কাজ করলে চট্টগ্রামে সংগঠনের লাভ হবে।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, চট্টগ্রামে রাজনীতির একটি ইতিহাস আছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মহিউদ্দিন চৌধুরী আন্দোলন করে সারাদেশ অচল করে দিয়েছিলেন। চট্টগ্রাম থেকে মহিউদ্দিন চৌধুরী দেখিয়েছিলেন আন্দোলন কিভাবে করতে হয় ও ন্যায্য দাবি কিভাবে আদায় করতে হয়। চট্টগ্রামের আন্দোলন সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। যার কারণে চট্টগ্রামে সাংগঠনিক দুর্বলতা আসাটা দুঃখজনক। আমরা চাই, তৃণমূল থেকে সাংগঠনিক কোথায় কি দুর্বলতা আছে- সেটা দূর করে কিভাবে সম্মেলন করা যায়, কোন সমস্যা আছে, সেটা এখানে সমাধান করতে চাই। সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর জন্য সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ মাহমুদ আল স্বপন, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.