একুশে পদক পাচ্ছেন চট্টগ্রামের ২ জনসহ ২১ ব্যক্তি

বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১ সালে একুশে পদক পাচ্ছেন চট্টগ্রামের দুই কৃতি সন্তানসহ ২১ বিশিষ্ট ব্যক্তি।

বৃহস্পতিবার তথ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়।

২১ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা হলেন- ভাষা আন্দোলনের জন্য মোতাহার হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার-মরণোত্তর), শামছুল হক (মরণোত্তর) ও আফসার উদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর)।

শিল্পকলায় পাপিয়া সারোয়ার (সংগীত), রাইসুল ইসলাম আসাদ (অভিনয়), সালমা বেগম সুজাতা (অভিনয়), আহমেদ ইকবাল হায়দার (নাটক), সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী (চলচ্চিত্র), ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় (আবৃত্তি), পাভেল রহমান (আলোকচিত্র)।

মুক্তিযুদ্ধে গোলাম হাসনায়েন, ফজলুর রহমান খান ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুমা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর)।

এছাড়া সাংবাদিকতায় একুশে পদক পাচ্ছেন অজয় দাশগুপ্ত, গবেষণায় ড. সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে ড. মির্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান, ভাষা ও সাহিত্যে কবি কাজী রোজী, বুলুবুল চৌধুরী ও গোলাম মুরশিদ।

এদের মধ্যে চট্টগ্রামের সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকি ও আহমেদ ইকবাল হায়দার রয়েছেন। ১৯৮০ সালে ঘুড্ডি ছবির সংলাপের জন্য ষষ্ঠ জাতীয় শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার পান সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকি। তাঁর সেই সাদাকালো-রোমান্টিক চলচ্চিত্রেই অভিষেক হয় আশির দশকে খ্যাতি পাওয়া অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফা। এরপর  এরপর ‘লাল বেনারসি’, ‘আয়না বিবির পালা’সহ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী।

গত শতকের নব্বই দশকের শেষ দিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ছিলেন। ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরশনের মহাপরিচালকের দায়িত্বে। ৭৫ বছর বয়সী সালাহউদ্দীন জাকীর গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভার ভোয়ালিয়া পাড়ায়। বাবা প্রফেসর সৈয়দ রফিক উদ্দীন। পরিবারে তিনিসহ তিন ভাই দু-বোন। বড়ভাই সৈয়দ সরফুদ্দীন জঙ্গি ও ছোটভাই সৈয়দ ইয়ামীন পেশায় প্রকৌশলী।

অন্যদিকে চট্টগ্রামের নাট্যাঙ্গনের প্রিয়মুখ আহমেদ ইকবাল হায়দার দীর্ঘদিন ধরে থিয়েটারের সাথে জড়িত। তার গ্রামের বাড়ি পটিয়ায়। তিনি আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদের নিকটাত্বীয়।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.