পটিয়ায় কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর উঠেছে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ । এ ঘটনায় সোমবার (১২ জুলাই) ভুক্তভোগীর ভাই রাতে পটিয়া থানায় একজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শনিবার সকালে কলেজে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। কলেজ থেকে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে পটিয়ার ছনহরা ইউনিয়নের গুয়াতলী এলাকায় তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। শনিবার সকালে ছাত্রী তার সঙ্গে দেখা করার জন্য পটিয়া যান। সারা দিন ঘোরাফেরার পর রাত ১০টার দিকে জঙ্গলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে ওই যুবক। এক পর্যায়ে ছাত্রী ওখান থেকে বের হয়ে সাবিত্রী আশ্রমের দিকে চলে আসার চেষ্টা করলে আসামি ছাত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরি দিয়ে পেটের দুই পাশে আঘাত করে ও মাথায় গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই বাদী হয়ে পটিয়া থানায় গতকাল রাতে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, শনিবার ১০ জুলাই রাত ১১টার দিকে উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের গুয়াতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে