চকরিয়া এশিয়ান হাসপাতালের ফার্মেসীতে লুটপাট

চকরিয়া প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের চকরিয়ায় থানা রাস্তার মাথায় অবস্থিত এশিয়ান হাসপাতালের এমডি’র বিরুদ্ধে ওই হাসপাতালের ফার্মেসী মালিকের ভাইকে মারধর ও টাকা লুটপাটের অভিযোগ তুলেছেন ফার্মেসী মালিক মনিরুল্লাহ। আজ শনিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় চকরিয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ফার্মেসী মালিক লিখিত বক্তব্যে দাবী করেন, ৭ লক্ষ টাকা অগ্রিম জামানত দিয়ে ৮হাজার টাকা ভাড়া নিধারণপূর্বক ২০১১ সালের ১৭ অক্টোবর এশিয়ান হাসপাতালের অভ্যন্তরে নিচতলায় অবস্থিত ফার্মেসীটি ভাড়া নেয়ার জন্য ০৭ বছর মেয়াদী একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয় হাসপাতালের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মহিউদ্দিন এর সাথে। ওই হাসপাতালের বৈধ কোন কাগজপত্র না থাকায় গত ২০১৩ সালের ২৮ এপ্রিল কক্সবাজারের তৎকালীন সিভিল সার্জন ওই হাসপাতালটি সিলগালা করে দেন। এরপর থেকে ওই হাসপাতাল ১ বছর বন্ধ থাকায় তৎকালীন চেয়ারম্যান মাসিক ভাড়া ৮ হাজার টাকার স্থলে ৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেন ফার্মেসী মালিককে। ওই সময়ে শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে আর্থিক অনিয়মের কারণে হাসপাতালটি বর্তমান এমডি শামশুল আলম ভাড়া নেন। তিনি ভাড়া নেয়ার পর থেকে ফার্মেসীর মালিক মনির উল্লাহ যথাসময়ে ভাড়া পরিশোধ করে ফার্মেসী পরিচালনা করে আসছেন। ইতিমধ্যে হাসপাতালের এমডি শামসুল আলম চুক্তি নবায়নের কথা বলে আগের চুক্তি মোতাবেক ৮ হাজার টাকার স্থলে আরো এক হাজার টাকা বৃদ্ধি করে ৯ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করেন। ওই ভাড়া ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত প্রদান করেন ফার্মেসী মালিক। তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো দাবী করেন, হাসপাতালের সাথে চুক্তিপত্রে উল্লেখ রয়েছে ওই হাসপাতালে একটি মাত্র ফার্মেসী থাকার কথা। কিন্তু তিনি চুক্তির শর্ত লঙ্গন করে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় নতুনভাবে আরো একটি ফার্মেসী খোলেন। প্রথম গ্রহিতা এ বিষয়ে বতর্মান এমডিকে অবহিত করলে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্ধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে গত ২৯ ও ৩০ জুলাই ফার্মেসী মালিকের ভাই হামিদ উল্লাহকে নির্মমভাবে হামলা করে আহত করেন শামসুল আলম ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা। এতে ক্ষান্ত না হয়ে দোকানের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন তারা। বতর্মানে আহত হামিদ উল্লাহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরপর দুই বার হামলা করে দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে নগদ ৬৫ হাজার ৮শত টাকা লুট ও দোকানের সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে ৩০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৯৫ হাজার ৮ শত টাকা ক্ষতি করেন হাসপাতালের এমডি শামসুল আলম ও তার সহযোগীরা। এ ব্যাপারে ফার্মেসী মালিক মনির উল্লাহ বাদী হয়ে শামসুল আলমসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা আরো ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি লিখিত এজাহার দেন। তিনি আরো দাবী করেন, চকরিয়া থানায় তার লিখিত এজাহারটি মামলা হিসেবে এন্ট্রি না করে শামসুল আলমের এক প্রভাবশালী ভাইয়ের প্রভাব খাটিয়ে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা নেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ফার্মেসী মালিক মনির উল্লাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ স্থানীয় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এদিকে এশিয়ান হাসপাতালের বতর্মান এমডি শামসুল আলম বলেন, দোকানের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাদের সাথে চুক্তি সম্পাদন হচ্ছে না বলে দাবী করেন তিনি। অপরদিকে ফার্মেসী মালিক মনির উল্লাহ দাবী করেন, ফার্মেসী নেয়ার সময় বিভিন্ন কিস্তিতে অগ্রিম জামানত দেয়া ৭ লক্ষ টাকাও ফেরত দিচ্ছে না বর্তমান এমডি শামসুল আলম।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.