প্রথম বারের মত বাঁশখালীর সাবেক এমপি মুজিবুর রহমান সিআইপি বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা

 

বাঁশখালী চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে

চট্টগ্রাম -১৬ (বাঁশখালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান সিআইপি ও সাবেক সংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী
সহ বাঁশখালী ২৬ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ২০ জনকে। ওই আন্দোলনে অংশ নেওয়া শেখ মোহাম্মদ আসিফ নামের এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (আমলী মোহাম্মদপুর), আদালত নং-২, ঢাকায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় অন্য উল্লেখযোগ্য বাঁশখালীর আসামিরা হলেন, বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র তোফাইল বিন হোসাইন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল মোস্তফা সংগ্রাম, ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, কালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত আলম, সাধনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমান উল্লাহ চৌধুরী সহ অজ্ঞাত ১০০-১৫০ জন ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হুকুমে আসামীগণ নিরীহ ছাত্র জনতার উপর বেপরোয়া ভাবে লাঠি চার্জ ও গুলি বর্ষন করিয়া নিরীহ ছাত্র জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারীভাবে গুলি চালায়। বিগত ১৯ সেপ্টেম্বর ২৪ ইং শুক্রবার দুপুরে ঢাকাস্থ মোহাম্মদপুর থানাধীন আল্লাহ করিম মসজিদ সংলগ্ন ময়ূর ভিলার সামনে পাকা রাস্তার উপরে বাদী ভিকটিম শেখ মোহাম্মদ আসিফ (২৬) ছাত্র জনতার কোটা আন্দোলনে সমর্থন দিয়া আন্দোলনকারীদের সহিত শান্তিপূর্ণ যৌক্তিক আন্দোলনে যোগ দিয়া শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করিতে থাকাবস্থায় আওয়ামী মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী লোকজন বে-আইনী জনতাবন্ধে মারাত্মক প্রাণঘাতি অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আন্দোলনকারীদের উপর বেপরোয়া ভাবে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে গুলি বর্ষন করিলে শর্টগানের ছড়ুড়া গুলি বাদীর ডান পায়ের রানে ৩টি, মাথার বাম পার্শ্বে কপালে ১টি, ডান হাতের কবজিতে ৪টি এবং কাধে ১টি ছড়ড়া গুলি লাগিয়া ক্ষত বিক্ষত হইয়া মারাত্মক রাক্তাক্ত আহত অবস্থায় পাকা রাস্তার উপর পড়িয়া গেলে আওয়ামী মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনী বাদীকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বাদীর উপর এলোপাথারী ভাবে ইটপাটকেল মারিয়া শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করিয়া মৃত ভাবিয়া রাস্তায় ফেলিয়া রাখিলে পথচারী লোকজন ও শান্তিপ্রিয় আন্দোলনরত অন্যান্য ছাত্র জনতা বাদীকে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ধানমন্ডি শাখা নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করিয়া আসামীগণের ভয়ে ভীত হইয়া বাদীকে হাসপাতালে ভর্তি করিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে বাদী বাধ্য হইয়া আহত অবস্থায় নিজ বাড়ীতে সাক্ষীদের সাহায্যে আসিয়া নিজ বসতবাড়ীতে দীর্ঘদিন অসুস্থ্য অবস্থায় শয্যশায়ী থাকেন।

গত ৫ আগস্টের পর থেকে সকল আসামীরা আত্মগোপনে আছেন।

 

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.