মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে WFP’র তালিকা তৈরিতে স্বজনপ্রীতি ও দূর্নীতির অভিযোগ

মহেশখালী প্রতিনিধি: মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীর অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে World Food Program (WFP) এর উপহার হিসাবে নগদ অর্থ বিতরণের জন্য তৈরিকৃত তালিকাতে স্বজনপ্রীতি, দূর্নীতি ও প্রকৃত অসহায়দের বাদ দিয়ে ধনী-স্বচ্ছল পরিবারের নাম দিয়ে তালিকা তৈরি করার অভিযোগ ওঠেছে। স্বজনপ্রীতি, দূর্নীতি ও প্রকৃত অসহায়দের বাদ দিয়ে ধনী-স্বচ্ছল পরিবার গুলোর নাম দিয়ে উক্ত তালিকা গুলো তৈরি করার অভিযোগ করেছেন মাতারবাড়ী ৮নং ওয়ার্ড মগডেইলের মেম্বার সরওয়ার কামাল। মেম্বার সরওয়ার কামাল অভিযোগ করে প্রতিনিধিকে বলেন, মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে WFP থেকে আসা কার্ড গুলো থেকে প্রতি ওয়ার্ডে দেওয়ার জন্য। চেয়ারম্যান প্রত্যেক ওয়ার্ড মেম্বারকে ৮০ জনের নামের তালিকা দিতে বলেন ইউপি সচিবের কাছে। আমি সে ৮০ জনের তালিকা টা সহ পিডিএফ ও যা যা প্রয়োজন সব দিয়েছি ইউপি সচিব, চেয়ারম্যান এবং কেয়ার বাংলাদেশের কর্মকর্তা কবিরে এর কাছে। পরে জানতে পারি দলে বরাদ্দ দেওয়ার ফলে মেম্বারদের ৮০ জনের তালিকাটা ৪০ জনের দিতে বলে। তালিকা জমা দেওয়ার কিছুদিন পর ফাইনাল তালিকা নিয়ে ডব্লিউএফপির কর্মকর্তারা মাতারবাড়ীতে তাঁদের উপহার হিসাবে নগদ অর্থগুলো বিতরণ করতে আসলে দেখতে পাই যে, প্রতি ওয়ার্ডের মেম্বারদের দেওয়া নামগুলো তালিকার আসছে। কিন্তু আমার দেওয়া ৮ নং ওয়ার্ডের তালিকার ১ জন মানুষেরও নাম আসেনি। পরে আমি মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি আমাকে বলেন, ১ জনের ও নাম আসবেনা এমম ঘটনা হওয়ার কথা নয়। কি কারণে ফাইনাল তালিকায় নাম একটাও আসেনি তা জানতে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা পিআইও রাশেদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। আমি পরে পিআইওর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কল রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, মাতারবাড়ী ইউনিয়নের জন্য মোট বরাদ্দ আসছে ১১৭৭ টি কার্ড তাঁর মধ্যে এখন ৯০০ জনের তালিকা নিয়ে নগদ অর্থগুলো বিতরণ শুরু হয়েছে। আমি মেম্বারদের ৮০ জনের নাম দিতে বলি প্রথমে, পরে দলে বরাদ্দ দেওয়ার কারণে ৮০ জনের পরিবর্তে ৪০ জনেট নাম দিয়ে তালিকা ইউপি সচিব বরাবর জমা দিতে বলেছি। তাঁরপর, চিকিৎসার জন্য আমি চিটাগং গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সচিব আব্দুর রশিদ বলেন, প্রতিটা ইউপি মেম্বারদের তালিকা আমাকে জমা দিয়েছে তা সত্য। কিন্তু আমি সব তালিকা উপজেলায় পাঠিয়ে দিয়েছি। WFP’র তালিকা নিয়ে অভিযুক্ত উক্ত বিষয়টি নিয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজুর রহমান বলেন, বিষয়টা স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং সচিবের বিষয়। তিনি তাদের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। ইউপি সচিব হতে সকল তালিকা পাঠানো সত্যেও একজন ইউপি সদস্যের দেওয়া তালিকা থেকে ১ জনেরও নাম না আসার কারণ জানতে মহেশখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পিআইও রাশেদুল ইসলামের বক্তব্য নিতে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে, কল রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফাইনাল তালিকাটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তৈরিকৃত তালিকায় ৮নং ওয়ার্ড়ের হতদরিদ্র পরিবারের পরিবর্তে সচ্ছল ও আত্মীয়দের লোকদের নামের তালিকায় দিয়েছে তালিকা তৈরীকারকরা। এমনকি একই পরিবারের দু’জন বা তিনজনের নামও এসেছে। এমনকি, মাতারবাড়ী ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দকৃত ডব্লিউএফপির কার্ডের ২ তৃতীয়াংশ কার্ড-ই পেয়েছে স্থানীয় ৮ নং ওয়ার্ড মগডেইল, ৯ নং ওয়ার্ড সাইরার ডেইলের মানুষজন।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.