চন্দনাইশে প্রান্তিক জনপদের বেহাল অবস্থা

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার জামিজুরী-আদর্শগ্রাম সড়কের বেহাল অবস্থা। সড়কটির প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশ কাঁচা থাকার কারণে বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। ফলে যানবাহন চলাচল দূরে থাক, পায়ে হেঁটে চলাও কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি ধান রোপণের জন্য প্রস্তুত করা চাষযোগ্য জমিতে পরিণত হয়।

জামিজুরী মুসলিম পাড়া ও হিন্দুপাড়া এবং আদর্শ গ্রাম মিলে প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের সদস্যদের যাতায়াত এই সড়কটি দিয়ে। গ্রামীণ এই সড়কটি দিয়ে এলাকার শিক্ষার্থী ছাড়াও শত শত কৃষক প্রতিদিন ক্ষেত খামারে যাতায়াত করে থাকেন। এছাড়া পেয়ারা ও লেবু বাগান পরিচর্যা কাজে নিয়োজিত বাগানি এবং শ্রমিকরাও নিত্য-যাতায়াত করেন।

সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে সম্প্রতি দোহাজারী পৌরসভার অধীনে গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর আওতায় ৯৮ লাখ ৩৫ হাজার ৩শ ৭৯ টাকা ব্যয়ে জামিজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৮শ ৮৫ মিটার অংশ আরসিসি ঢালাই করা হয়। এর পর যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলেও বাকি অংশ কাঁচা থাকার কারণে চলাচলে পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। কৃষি ক্ষেত্রে এ এলাকার কৃষকরা নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে কৃষি ফসল উৎপাদন করেও কর্দমাক্ত সড়কের কারণে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কৃষি ফসল বাজারজাত করতে কয়েকগুন ভাড়া ও দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের। বর্ষা মৌসুমে এ এলাকার লোকজন হাট-বাজারে যেতে ও যাতায়াত করতে সীমাহীন কষ্ট করতে হয়। এ গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যেতেও সমস্যা হয়।

জামিজুরী-আদর্শগ্রাম সড়কের কাঁচা থাকা বাকি অংশ ব্রিকসলিন বা আরসিসি ঢালাই না করা হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ থেকেই যাবে। এ জন্য তাঁরা স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, দোহাজারী পৌরসভার প্রশাসক ও চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম এবং পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.