সবচেয়ে বেশি হাতি হত্যা করা হয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রামে

সাতকানিয়া প্রতিনিধি

পাহাড়ি বনাঞ্চলে বাড়িঘর নির্মাণ ঠেকানো গেলে বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থল নিরাপদ হিসেবে গড়ে তোলা যাবে বলে এক অনুষ্ঠানে অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে। ওই সভায় বক্তারা বলেন, সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকায় সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। তাই হাতি ও মানুষের মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিরসন করতে হবে। সভায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, বাঁশখালী, লোহাগাড়া, কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ফাঁদ পেতে বা গুলি করে হাতি হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। অথচ সরকার হাতির আক্রমণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছে। তবুও হাতি হত্যা বন্ধ হচ্ছে না।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ফাঁদ পেতে হাতি মারা বন্ধ করতে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা করেছে বনবিভাগ। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের মির্জাখীল এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘হাতি সংরক্ষণ এবং হাতি মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস।

মাদার্শা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন মিয়ার সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, পদুয়া রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক একেএম আজহারুল ইসলাম, সাতকানিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজীব কান্তি রূদ্র।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও বাঁশখালীর পর ১৩ নভেম্বর কক্সবাজারের চকরিয়ায় পাওয়া যায় হাতির মরদেহ। এ নিয়ে দেশে এক সপ্তাহে পাঁচটি হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো। যার চারটি ঘটনাই ঘটেছে বৃহত্তর চট্টগ্রামে।

চট্টগ্রাম সংবাদ/ আই এইচ

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.