নিক্ষেপ নয়, পুকুরে প্রতীমাকে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে’ – চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

আনোয়ারার আলোচিত অসীম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এবার প্রতিমা ফেলে দেওয়ার অভিযোগ

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ৭নং সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেব‘র বিরুদ্ধে ওয়ারিশ সনদসহ নানা অভিযোগের পর এবার কালী পূজার প্রতীমা পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করেন উপজেলার বোয়ালগাঁও গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত প্রমোথ মিত্রের পুত্র মিশু মিত্র। গত সোমবার (১৫ নভেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

এরআগে মন্দির ভাংচুরের অভিযোগও করেন এলাকার লোকজন। তবে চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেব বরাবরের মতো এ অভিযোগও অস্বীকার করে বলেন, সামনে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। পুকুরে প্রতীমা ফেলে দেওয়া হয়নি। পূজা শেষে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে প্রতীমাকে।

প্রতীমা ফেলে দেওয়ার অভিযোগ সূত্র ও অভিযোগকারী মিশু মিত্র জানান, ২০২০ সালে নভেম্বরে মিশু মিত্রের স্ত্রী দোলা মিত্র স্বপ্নে দেখেন কালী পূজাকরণের জন্য। স্ত্রীর স্বপ্ন পূরণের জন্য বাজার থেকে কিনে নিয়ে আসেন কালী পূজার প্রতীমাকে। বাংলা কার্তিক মাসে পূজা অর্চনা শুরু করেন তাঁর স্ত্রী। একই এলাকার অজিত দত্তের অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেব নির্দেশে ইউপি সদস্য উত্তম মেম্বার ও তিনজন গ্রাম পুলিশ এসে মিশু মিত্রের স্ত্রী দোলা মিত্রকে পূজা অর্চনার বাঁধা দেন এবং জোর করে প্রতীমা পার্শ্ববর্তী ডোবায় ফেলে দেয়।

মিশু মিত্র জানান, গত একবছর চেয়ারম্যান ও তার বাহিনীদের ভয়ে কোথাও অভিযোগ বা প্রতিবাদ করিনি। আমার মত যারা নির্যাতনের শিকার সকলে দেখি প্রতিবাদ করছেন এবং উনার বিরুদ্ধে এলাকায় মানববন্ধনও হয়েছে নানা ঘটনার। সকলের প্রতিবাদ দেখে সাহজ পেয়েছি। তাই বিচার চেয়ে ইউএনও মহোদয় বরাবরে অভিযোগ জানিয়েছি।

প্রতিমা ফেলে দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, গতকাল সোমবার আরো একটি অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। এসব অভিযোগ তদন্তে ঘটিত কমিটি তদন্ত করছে।

গত শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) ৩০ বছরের পুরনো শ্রী লোকনাথ মন্দির ও শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ জীব গীতা বিদ্যা নিকেতন নামে একটি গীতা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে আনোয়ারা জয়কালী বাজার কলেজ রোডে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। এরপর মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ৭ নম্বর সদর ইউনিয়ন এলাকাবাসীর ব্যানারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেবের বিরুদ্ধে মন্দির ভাঙচুর ও নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচারের অভিযোগে মানববন্ধন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদের কাছে স্মারকলিপি দেন ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্তরা।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.