হৃদয়-জাকিরের ব্যাটে সিলেটের টানা তৃতীয় জয়

আগে ব্যাটিং করে ১৪৯ রান তুলেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টার্গেট বড় না হলেও প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণ বেশ শক্ত বলে পুরোপুরি নির্ভার হয়তো ছিল না সিলেট স্ট্রাইকার। শুরুতে ওপেনার মোহাম্মদ হারিসকে হারিয়ে খানিকটা চাপেই পড়েছিল দলটি। তবে পরে দুই তরুণ তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী সেই চাপ অনেকটা ফুঁ দিয়েই উড়িয়ে দিলেন!

হৃদয়, জাকিরের দারুণ ব্যাটিং ও শেষ দিকে মুশফিকুর রহিমের দায়িত্বশীল এক ইনিংসের কল্যাণে কুমিল্লার বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে সিলেট। টুর্নামেন্টে এ নিয়ে তিন ম্যাচ খেলে তিনটিতেই জিতল সিলেট। অপর দিকে হট ফেভারিট কুমিল্লা দুই ম্যাচ খেলে হারল দুটিতেই।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৪৯ রানের জবাব দিতে নেমে সিলেটের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ১২ রানের মাথায় আবু হায়দার রনির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন দলটির ওপেনার মোহাম্মদ হারিস।

অপর ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত অনেকক্ষণ ক্রিজে থাকলেও বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেননি। দলীয় ৫৫ রানের মাথায় ২১ বলে ১৯ রান করে ফিরেছেন শান্ত। তারপরই মূলত ম্যাচের মোড় ঘুরে গেল। তাওহিদ হৃদয় ও জাকির হাসান পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নেন।

আবু হায়দার রনি, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ নবিদের মেরে খেলতে চেয়েছেন সিলেটের দুই তরুণ। জাকিরের স্কোরটি অবশ্য বড় নয়। তবে তার ১০ বলে ২০ রানের ইনিংসটি ম্যাচের আবহ পরিবর্তন করেছে। আগের ম্যাচে দারুণ এক ফিফটি পাওয়া তাওহিদ হৃদয় ফিফটি পেয়েছেন আজও।

দলীয় ১২৭ রানের মাথায় ৩৭ বলে ঠিক ৫০ রান করে হৃদয় যখন ফিরলেন ততোক্ষণে সিলেটের জয় প্রায় নিশ্চিত। ৩টি চার এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন হৃদয়। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিম ২৫ বলে ২টি চারে ২৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। কুমিল্লার হয়ে ২৮ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ নবি।

হৃদয়-জাকিরের ব্যাটে সিলেটের টানা তৃতীয় জয়

এর আগে কুমিল্লার ১৪৯ রানের মাঝারি সংগ্রহে বড় অবদান উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলীর। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই লিটন দাসকে হারায় কুমিল্লা। পরে সৌকত আলী (১২ বলে ২০) ও অধিনায়ক ইমরুল কায়েস (৩ বলে ২) ৯ রানের ব্যবধানে ফিরলে বিপদে পরে ফেভারিট কুমিল্লা। সেখান থেকেই হাল ধরেছিলেন জাকের।

ইংলিশ ওপেনার ডেভিড মালানের দারুণ সঙ্গ পেয়েছেন তরুণ উইকেটরক্ষক। চতুর্থ উইকেটে ৫৩ রানের জুটি গড়েন দুজন। থিসারা পেরেরাকে হাঁকাতে গিয়ে দলীয় ৯৯ রানের মাথায় ৩৯ বলে ৩৭ রান করে ফেরেন মালান। তার পর কুমিল্লাকে অনেকটা একাই টেনেছেন জাকের।

অপরপ্রান্তে মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ নবীরা সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলেছেন জাকের। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানে থেমেছে কুমিল্লা। জাকের তখন ৪৩ বল খেলে ৫৭ রানে অপরাজিত। তার ইনিংসে চারের মার ২টি, ছক্কা ৩টি।

সিলেটের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন থিসারা পেরেরা ও মোহাম্মদ আমির। আমির চার ওভারে ২২ রান দিয়ে ও থিসারা ২৪ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম ও মাশরাফি বিন মুর্তজা।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.