ছদাহার বেগুনের রাজত্ব রাজধানীজুড়ে। শুধু বেগুন নয়, এই ছদাহার মাটিতেই হলুদ তরমুজ থেকে শুরু করে হরেক রমকের বিদেশি ফলের সফল চাষ হয়েছে। আর বর্তমানে সেই ছদাহার মাটি ফেটে উঠছে ফেন্সিডিল, গাঁজা, ইয়াবার মতো ভয়ানক মাদক! মাদকের বোতলের ভারে চাপা পড়ে যাচ্ছে চাষাবাদের ঐতিহ্য। গত ৩ মার্চ পুলিশের হাতে বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার হয় আবদুল খালেক নামে এক ব্যক্তি।
পুলিশের সোর্স ভেবে যুবককে মারধর অপরাধীদের
এদিকে গত ১০ মার্চ বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার আব্দুল খালেককে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার সন্দেহে মো. হারুন নামে এক যুবককে বেধড়ক পিটিয়েছে অপরাধীরা। এ ঘটনায় তার বাবা কালা মিয়া বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মৌরশী জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে মো. আবছার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। অভিযুক্ত ছত্তার ও খালেক আবছারের সহযোগী। তারা সবাই মিলে একটি অপরাধ চক্র গড়ে তুলেছে। এসবে বাধা দেওয়ায় অভিযুক্তরা মারধরের শিকার হারুনকে তাদের অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে বাধা না দেওয়ার জন্য মারধরসহ প্রাণে হত্যা করার হুমকি দেয়। গত ১০ মার্চ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর তার সহযোগীদের জানিয়েছে, হারুনই তাকে ধরিয়ে দিয়েছে। এরমধ্যে গ্রেপ্তার খালেকও জামিন পায়। এসব ঘটনার জের ধরে ওস্তাদ পাড়া নেজাম সওদাগরের দোকানের সামনে টেবিলে বসে চা-নাস্তা করার সময় অভিযুক্তরা হাতে লোহার রড, লাঠি শোটা ইত্যাদি নিয়ে হারুনকে মারধর করে। মাছ বিক্রির নগদ ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে হারুনের ডাক চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
এদিকে আবছারের সহযোগীরা গ্রেপ্তার হলেও বারবার ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যায়। পরে আবছারের সহযোগিতায় বাকিরা বেরিয়ে এসে আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। পথেঘাটে ফেনসিডিল পড়ে থাকার ঘটনায় মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান ও থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত জানিয়েছেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।