দক্ষিণ চট্রগ্রামের অর্ধ শতাধিক গ্রামে একদিন আগে ঈদ

পটিয়া প্রতিনিধি:

দক্ষিণ চট্রগ্রামের অর্ধ শতাধিক গ্রামে একদিন আগে ঈদ পালন করবে।
সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শুক্রবার (২১ এপ্রিল) শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যেতে পারে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রনমিক্যাল সেন্টার (আইএসি)। সেক্ষেত্রে, আগামী শনিবার (২২ এপ্রিল) মধ্যপ্রাচ্যে উদযাপিত হতে পারে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর রীতি অনুযায়ী একদিন পরে চাঁদ দেখা যায় বাংলাদেশে। বাংলাদেশে ঈদ হতে পারে তার পরের দিন রবিবার (২৩ এপ্রিল)।

বৃহস্পতিবার সৌদি আরবসহ মুসলিম বিশ্বের দেশগুলো থেকে খালি চোখে এবং আরব বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে টেলিস্কোপের মাধ্যমেও শাওয়াল মাসের চাঁদের দেখার সম্ভাবনা নেই বলে জানা যায়।

সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আগামী শনিবার দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়াসহ সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, বোয়ালখালী,আনোয়ারা উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের মির্জাখীল দরবারের অনুসারী লক্ষাধিক মানুষ মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করার সম্ভাবনা। বাংলাদেশে গত ২৩ মার্চ রাতে রোজা শুরু করলেও মির্জাখীল অনুসারীরা একদিন আগে ২২ মার্চ রাতে সেহেরি খেয়ে রোজা শুরু করেছেন। মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা দীর্ঘদিন থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন।

এদিকে, মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারী সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল, সোনাকানিয়া, গারাঙ্গিয়া ও গাটিয়াডাঙ্গা, লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা চরম্বা ও চুনতি, বাঁশখালী উপজেলার জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা, তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর, পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও, বাহুলী ও ভেল্লাপাড়াসহ ৫০ গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ আগামী শনিবার ঈদ উদযাপন করবেন।

মিজার্রখীল দরবার সূত্রে জানা যায়, চন্দনাইশ জাহাঁগিরিয়া শাহ্সুুফি মমতাজিয়া দরবারের দুই জন খলিফা হযরত আতিক উল্লাহ শাহ্ (রঃ) এবং হযরত আবুল হোসেন (রঃ) প্রায় ১২৫ বছর পূর্ব থেকে অত্র এলাকায় তাহাঁদের পীরানে পীরের নির্দেশ ও মাজহাব মতে পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে সকল মুসলিম ধর্মীয় কার্যক্রম পালন করে আসছেন।

প্রায় আড়াইশ বছর আগে সাতকানিয়া মির্জাখিল গ্রামে হযরত মাও. মোখলেছুর রহমান জাহাঁগিরি (রঃ) হানাফী মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী পৃথিবীর যে কোন দেশে চাঁদ দেখা গেলে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহাসহ সকল ধর্মীয় উৎসব পালন করার ফতোয়া দিয়েছেন। তাঁরই উত্তরসুরি হযরত মাওলানা আবদুল হাই জাহাঁগীরির অন্যতম প্রধান খলিফা চন্দনাইশ শাহ্ছুফি দরবারের পীর হযরত মাওলানা শাহ্ছুফি আমজাদ আলী (রঃ) এর মুরিদ ও অনুসারিরা একই নিয়মে সকল ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে।
মির্জাখীল দরবারে আলীয়া জাহাগিঁরিয়ার মাওলানা আবদুর রহমান জানান , আমরা যেহেতু সৌদি আরবের দিনক্ষণ অনুসরণ করি, সে অনুযায়ী আশাকরি আগামী শনিবার
পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করব
। শুক্রবার আমাদের রোজা শেষ হবে।

এছাড়াও হাটহাজারী, সন্দ্বিপ, ফটিকছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারী রয়েছে তারাও আগামী শনিবার মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করবে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.