অর্থ পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে বাংলা টিভির এমডি সৈয়দ সামাদুল হকসহ পাঁচ পরিচালককে দুদকে তলব

অর্থ পাচার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলা টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ সামাদুল হকসহ প্রতিষ্ঠানটির ৪ জন মালিককে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন, দুদক । রোববার দুদকের পক্ষে এ সংক্রান্ত নোটিশ জারি করা হয়।

দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার মনি স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বাংলা টিভির শেয়ার হস্তান্তরের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও তদন্তের স্বার্থে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ সামাদুল হক, চেয়ারম্যান কে এম আখতারুজ্জামান, পরিচালক মীর নুর উস শামস শান্তনু ও কে এম রিফাতুজ্জামানের বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা প্রয়োজন।

এজন্য তাদের আগামী ৭ জুন, দুদকের প্রধান কাযালয়ে হাজির হতে বলা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৈয়দ সামাদুল হক ২০০৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত লন্ডনে বাংলা টিভি নামে একটি টিভি চ্যানেল পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু নানা অসংগতির কারণে সেই টিভি চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে যায়।

পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রয়াত সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিষ্ট আবদুল গাফফার চৌধুরীর মাধ্যমে ২০১৬ সালে বাংলাদেশে বাংলা টিভি নামে একটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের অনুমোদন নেন সামাদুল হক। টেলিভিশনটি পরিচালনার জন্য সিলেটের বিতর্কিত ব্যবসায়ী রাগীব আলীকে চেয়ারম্যান করা হয়। তার কাছ থেকে শেয়ার বিক্রির নামে কয়েক কোটি টাকা নেন সামাদুল এবং রাগীব আলীর ৮৩, সিদ্ধেশরী, রমনাস্থ ভবনে টেলিভিশনের কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেন। কিন্তু বিভিন্ন মামলায় রাগীব আলী কারাগারে গেলে পরবর্তীতে আখতার ফার্নিচারের মালিক কে এম আখতারুজ্জামান, তার ছেলে কে এম রিফাতুজ্জামান ও বিটিভির সংবাদ পাঠক মনিরুল ইসলামের কাছে শেয়ার বিক্রি করেন।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.