নিজে ভিজেই বন্যার্তদের ত্রাণ দিচ্ছেন -এম এ মোতালেব সিআইপি

মোতালেব ছাড়া এখনো তেমন কেউ এগিয়ে আসেনি-

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাতকানিয়া উপজেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ভেসে গেলো অনেক মানুষের ঘরবাড়ি সাথে বন্যায় কেঁড়ে নিলো অনেক মানুষের প্রাণ।

 

 

সাতকানিয়া লোহাগাড়ায় অন্তত ২লক্ষাধিক মানুষ ঘরবন্দী , এক মুঠো অন্ন আর এক ফোঁটা বিশুদ্ধ  জলপিপাসায় কাতর লক্ষাধিক মানুষ।

 

গত ২রা আগষ্ট  থেকেই সাতকানিয়ার আকাশে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হলেও ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয় মাত্র গত তিনদিন আগে।

 

এই তিনদিনে সাতকানিয়ার ১৭টি ইউনিয়নসহ পৌরসভার অবস্থা ছিলো নাকাল।

 

এদিকে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাসের একক প্রচেষ্টায় গত ৭ই আগষ্ট পাহাড় ধসের আশংকা প্রকাশপূর্বক, ভারী বৃষ্টির কথা উল্লেখ করে বিভিন্ন ইউনিয়নে মাইকিং করেন।

 

ওদিন থেকেই পার্শ্ববর্তী আশ্রায়ন কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয় ঝুকিপূর্ণ জনসাধারণকে -তবে এই ভয়াবহ বন্যায়  কোন জনপ্রতিনিধির দেখা পায়নি সাতকানিয়ায় অবর্ননীয় দূর্যোগ পোহানো মানুষগুলি।

তাই এত দূর্যোগের পরেও তাদের (জনপ্রতিধিদের) পাশে না পাওয়ায় অন্তরে ছিলো চাপা কষ্টের নীরব ক্ষত!

তবে অনুসন্ধানে জানাযায়,প্রচন্ড দূর্যোগ উপক্ষা করে  সাতকানিয়া লোহাগাড়ায় এম এ মোতালেব সিআইপির নেতৃত্বে গত ৩দিন ধরে নিজস্ব ২টি প্রতিনিধিদল ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছিল কোন কোন স্পটে, কি কি কারণে এত বন্যার পানি বিপদসীমার উপরে ওঠতে পারে! পাশাপাশি ওই প্রতিনিধিদল সুক্ষভাবে তদন্ত করেছিল কি পরিমাণ মানুষ বন্যার কারণে অন্নাভাবে ভোগছে।

তারই প্রেক্ষিতে আজ বুধবার(৯ই আগষ্ট)সকাল থেকে কখনো পায়ে হেঁটে, কখনো বোটে চড়ে, কখনো রেনকোট পড়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করে, এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে ছুটেছেন স্বার্থহীন ভাবে শুধু মানবতার টানে।

সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মো:জোবায়ের, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সালাহ উদদীন হাসান চৌধুরী, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাতকানিয়া সার্কেলের এএসপি শিবলী নোমান, সাতকানিয়া থানার ওসি ইয়াসির আরাফাত, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস, সাতকানিয়া উপজেলা ভূমি সহকারি কর্মকর্তা আরাফাত সিদ্দিকী, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সুমন, দক্ষিণ জেলা যুবলীগনেতা ওয়াহিদুল ইসলাম, এওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ছালেহ,পৌরসভা ছাত্রলীগের আহবায়ক মো:ইদ্রিস, যুগ্ন আহবায়ক এমরান,আয়াছসহ একটি বহর বুধবার সকাল থেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মোতালেব সিআইপির সাথে বিভিন্ন ইউনিয়নের আশ্রায়ন প্রকল্পে ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন দূর্গম এলাকা পরিদর্শনে ছিলেন।

বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের সময় সাতকানিয়ার আকাশ ছিলো কখনো মেঘাচ্ছঁন্ন আর কখনো ছিলো বৃষ্টির থাবা!তবে ৭০বছর বয়সী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব সিআইপির বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর দৃশ্য ছিলো অনেকটা ২৬বছর বয়সী যুবকের তেজদীপ্ত জোয়ানের মত।


এদিকে পৌরসভার একাধিক বাসিন্দা প্রতিবেদককে জানিয়েছেন সবকিছু হারিয়েছি গত  ২দিনে  এখনো মুখে কিছু দিতে পারিনি।

স্বর্নলংকারসহ নগদ টাকা যা গচ্ছিত ছিল ঘরে সব পানিতে ভেসে গেলো।

উপোষ আছি,এরকম উপোঁসে উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব সাহেবের ত্রাণ সহায়তা সাতকানিয়ার বানবাসী মানুষেরা আজীবন মনে থাকবে।

পাশাপাশি তিনি আরো বলেন-আমাদের চোঁখে এখন পর্যন্ত এরকম দূর্যোগে কোন জনপ্রতিনিধির সহযোগিতার হাত বাড়াতে দেখিনি।


এদিকে সাতকানিয়ার একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন মোতালেব সাহেব নিজেই সাতাঁর কেটে আবার কখনো পায়ে হেঁটে মানুষকে ত্রাণ দিচ্ছেন।

 

এওচিয়ার আশ্রায়ন প্রকল্পের  বাসিন্দা বৃদ্ধা খাদিজা(৭০)জানান আমি ভিক্ষা করে খাই, এই বানে কই ভিক্ষা করমু তাই রাতে না খেয়ে ছিলাম কিন্তু মতলব নামো লোক এসে একটা প্যাকেট দিসে তাই আমি অন্তরপুরাই খুশি এহন।

 

 

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.