সৈয়দ আককাস উদদীন সাতকানিয়া চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে বাস তিনটির আগুন নেভায়।
আগুন দেওয়া বাসের মধ্যে দুইটি শ্যামলী ও একটি হানিফ পরিবহনের।
সাতকানিয়া ফাসসাতকায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ জানায়, সাতকানিয়া রাস্তার মাথার দক্ষিণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে একটি মাঠে বাসগুলো পার্কিং করা ছিল। সোমবার ভোরে বাসগুলোতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঘটনাস্থলের স্থানীয়রা জানান, ভোর চারটার দিকে দুইটি মোটরসাইকেল যোগে পাঁচজন যুবক এসে পরপর তিনটি বাসে আগুন দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
আরো পড়ুন
শ্যামলী বাসের মালিক সিরাজুল হক জানান, বাসগুলো মেরামত শেষে গতকাল রবিবার রাতে পার্কিংয়ে রাখা হয়। ভোরে লোকজন ফোন করে জানায়, বাসগুলোতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে ঘটনাস্থলে এসে দেখি বাসে আগুন জ্বলছে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন।
সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা এসএম হুমায়ুন কার্ণায়েন বলেন, ভোরে বাসে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করি। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হই।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার জানান, বাসগুলো সাতকানিয়া রাস্তার মাথার দক্ষিণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে একটি মাঠে দাঁড়ানো ছিল। ভোর রাতে আগুন দিয়েছে। আগুন দেওয়ার কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে।
ফলে বাসগুলোর খুব বেশি ক্ষতি হয়নি ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে সাতকানিয়া সার্কেলের এডিশনাল এসপি শিবলী নোমান বলেন ঘটনাস্থলে আমি নিজেই গিয়েছি ঘটনার বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান তদন্তপূর্বক দোষীদের কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
অপরদিকে ইউএনও মিল্টন বিশ্বাস বলেন আমি বিজিবিসহ স্পটে গিয়েছি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি বিষয়টা আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি।
পুড়িয়ে যাওয়া গাড়ীর আরেক মালিক লোহাগাড়ার রশিদা পাড়ার বাসিন্দা রিদুয়ানুল হক কান্নাকাটি করে বলেন, ব্যাংকের লোন নিয়ে আমি এই গাড়ী কিনেছি এখন আমি নি:শ্ব আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
অপরদিকে স্থানীয়রা প্রতিবেদককে জানান সমগ্র বাংলাদেশে বিএনপি জামাতের যে অগ্নিসন্ত্রাস তারই অংশ হচ্ছে কেরানীহাট রাস্তার মাথার ঘটনাটা।
তারা আরো বলেন গত ৭মাস সমগ্র বাংলাদেশে জ্বালাওপোড়াও করতে পারলেও সাতকানিয়া শান্ত ছিল কিন্তু হুট করে তারা শান্ত সাতকানিয়াকেও অশান্তের জনপদে পরিণত করে ফেলছে।
এদিকে ঘটনার পরপরই উত্তর সাতকানিয়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান ওসমান আলীর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয় এবং বিক্ষোভ শেষে ঘটনাস্থলে ওসমান আলী ও উত্তর সাতকানিয়া আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ছালেহ শানও সাবেক ছাত্রনেতা সোহেল বক্তব্য রাখেন।