ঈগলের বিজয়ে আটঘাট বেঁধে মাঠে নামলেন ক্যাপ্টেন মাঈনুল আহসান

মুহাম্মদ এনামুল হক মিঠু 

 

দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।জনগণের ভোটে জনগণের পছন্দের প্রার্থীকে নিজেদের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে পাঠানোর সময়।নির্বাচনের এ লড়াইয়ে যে নেতা জনগণের যে নেতা সাধারণ মানুষের সে নেতাকে সংসদে পাঠানো জনগণ ও সমাজের জনসচেতন মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।চট্টগ্রাম-১৬ আসনের এমন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র মুজিবুর রহমান সিআইপি।বাশঁখালীবাসীর স্বপ্নের আকাশে উড়ন্ত প্রতীক ঈগলের স্বতন্ত্র প্রার্থী।উজ্জ্বল এই নক্ষত্রের বিজয় চূড়ান্তের মাধ্যমে বাশঁখালীর সাধারণ মানুষের বিজয়ের হাসি নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছেন আরেক নক্ষত্র ক্যাপ্টেন মাঈনুল আহসান খান।জনগণের ভোটের ভালবাসায় ঈগল প্রতীকের চূড়ান্ত বিজয় নিয়েই মাঠ থেকে উঠবেন ক্যাপ্টেন মাঈনুল আহসান খান।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী , পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ ,বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী, স্মার্ট বাঁশখালী নির্মাণের স্বপ্নদ্রষ্টা, বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা স্মার্ট গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান সিআইপিকে নিয়ে ছনুয়া, পুইছড়ি এবং শেখেরখীল ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচারণায় আটঘাট বেঁধে মাঠে নামলেন বি এম কন্টেইনার ডিপোর (স্মার্ট গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ) নির্বাহী পরিচালক জনাব ক্যাপটেন মাইনুল আহসান খান। দূঢ় মনোবলে তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ আগামী ৭ তারিখ নির্বাচনে জয় আমাদের হবেই।আসুন সকলে ঈগল মার্কায় ভোট দিয়ে স্মার্ট বাঁশখালী নির্মাণে সামিল হই।

সঠিক যোগ্য এবং জনগণের নেতাকে নির্বাচনে জয়ী করতে মাঠে নামায় ক্যাপ্টেন মাঈনুল আহসান খানকে সমর্থন দিয়ে সাধুবাদ জানিয়ে মুজিবুর রহমান সিআইপির সমর্থনে কলম ধরলেন বিশিষ্ট কলামিস্ট এনামুল হক মিঠু।

তিনি লিখেন – বার আউলিয়ার পুন্যভুমি চট্টগ্রাম পূর্বেও নাম ছিল ইসলামাবাদ এই চট্টগ্রামে নাকি নাম করা আউলিয়া-কেরাম গনের মাধ্যমে ইসলামের চাষ বা আবাদ করা হয়েছিল। তারপর কখনো চাটি গাঁ, চাটগাঁ এইভাবে ৪৮ বার নাম করনের মাধ্যমে আজকের চট্টগ্রাম। তারই অন্তর্গত দক্ষিন পশ্চিমে অবস্থিত নয়না ভিরাম সাগর উপকুলীয় একটি থানার নাম হচ্ছে বাঁশখালী। সেই বাঁশখালীর নাপোড়ার কৃতি সন্তান আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান (সি আই পি) পিতাঃ মরহুম আলহাজ্ব মাষ্টার নজির আহাম্মদ মাতাঃ আম্বিয়া খাতুন। ভাই বোনের মধ্যে তাঁর অবস্থান ৬ষ্ট তম। ইতি পূর্বেই শিল্প ও বানিজ্য জগতে এক জীবন্ত কিংবদন্তী সমাজ হিতৈষী যিনি সারা বাংলাদেশে এক নামে পরিচিত। শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রনালয় হতে একাধিক বার সি আই পি (শিল্প) ও সি আই পি (বানিজ্য) নির্বাচিত হয়েছিলেন। উনার প্রতিষ্টিত স্মার্ট জিনস্ লিঃ, স্মার্ট জেকেট বিডি লিঃ, সিহান স্পেশালিষ্ট টেঙ্টাইল মিলস লিঃ, চিটাগং ডেনিম মিলস লিঃ, বি এম কন্টেইনার ডিপো লিঃ, বি এম এ্যানার্জি সহ প্রায় ৩৫টির অধিক শিল্প প্রতিষ্টানে চট্টগ্রামসহ বাঁশখালীর ৫০,০০০(পঞ্চাশ হাজার) এরও বেশি লোকের কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। তিনি ব্যবসা ও বানিজ্যের পাশাপাশি উনার পিতাঃ মরহুম আলহাজ্ব মাষ্টার নজির আহাম্মদের নামে “আলহাজ্ব মাষ্টার নজির আহাম্মদ ট্রাষ্ট গঠন করে আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রেখে চলেছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বানিজ্য, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং গ্রামীন অবকাটামো সহ বাঁশখালীর সামগ্রিক উন্নয়নে একনিষ্টভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। স্মার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বহুল প্রচারিত দৈনিক পূর্বদেশ সংবাদপত্রের সম্পাদক, পূর্বে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক, বর্তমানে সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান (সিআইপি) শিক্ষা ক্ষেত্রে- মাষ্টার নজির আহাম্মদ ডিগ্রী কলেজ, আম্বিয়া খাতুন মহিলা ক্যাডেট দাখিল মাদ্রাসা , মাষ্টার নজির আহাম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , জুবেদা এতিম ও হাফেজ খানা, প্রতিষ্টাসহ অসংখ্য মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্টায় অগ্রণী ভুমিকা রেখেছেন। এছাড়া এই ট্রাষ্টের মাধ্যেমে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা গরিব ও মেধাবি শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর বিনামূল্যে বই বিতরন , শিক্ষা উপকরণ, শিক্ষা বৃত্তি, চিকিৎসা ভাতাসহ আরো অনেক সুযোগ সুবিদা দিয়ে যাচ্ছেন। যাহা শিক্ষা প্রসারে অগ্রণী ভুমিকা রেখে চলেছেন। শুধু তাই নয়, বাঁশখালীর বিভিন্ন সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে যাচ্ছেন বাঁশখালীর এই উজ্বল নক্ষত্র আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান (সিআইপি)। সম্প্রতি কিছু রাষ্ট্র্রদ্রোহী, সমাজের নরকীট উনার পর্বত সমতুল্য রাষ্ট্রীয় সম্মানকে হেয় প্রতিপন্ন করার কল্পে উটে-পড়ে লেগেছেন, যা আদৌ কাম্য নহে। ঐ সকল মানুষ নামের পরশ্রীকাতরেরা সর্বদা সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে চরম বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তারা নিজেরা জনগণের কল্যান সাধনে কিছু করতে চায় না, বরং অন্যরা ভুমিকা রাখুক সেটাও তাদের পছন্দ না । যাহা অনেকটা মীরজাফরের ভূষণ ও হীনমন্যতার পরিচায়ক। তাদের মনে রাখা উচিত ভাল চিন্তা ধারা রাষ্ট্র, সমাজ ও জীবনে সফলতা বয়ে আনে, আর ঈর্ষা/পরশ্রীকাতরতা য়ে মানসিক অশান্তি ও ভোগান্তি । পাচে লোকে কিছু বলে, তাই বলে মহৎ উদ্দেশ্য ও মহৎ কাজ থেমে থাকে না। যাহা অনেকটা (The water of a ducks back ) অর্থাৎ হাঁসের গায়ে পানি ছিটানোর মত।

দৃঢ় সংকল্প সবসময় সমালোচনার মহাসমু্দ্রকে অতিক্রম করে তার লক্ষ্যে অনায়সে পৌঁছে যায় এবং কর্মে সফলতা প্রদর্শন করে জগতের বুকে কৃর্তীমান হয়। নিন্দুকদের ভয় না পেয়ে আসুন রবি ঠাকুরের মত বলি “নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভাল, যুগজনমের বন্ধু আমার আধার ঘরের আলো। পরিশেষে, সমাজ রাষ্ট্র ও সর্বোপরি সৎ ও যোগ্য মানুষ হিসাবে চট্টগ্রাম তথা বাঁশখালীর এই আলোক বর্তিকা তার উজ্জল আলোর পরশ ছড়িয়ে সর্বক্ষেত্রে এবং তাঁর প্রতি সকল শ্রেনীর মানুষের দোয়া থাকবে সার্বক্ষনিক ।

যাঁর আন্তরিকতায়, নাড়ির টানে
বাঁশখালীর শুরু থেকে শেষ প্রান্ত পযন্ত প্রতিটা মহল্লা ও গ্রামের হাজার হাজার বেকার মানুষের কর্ম সংস্থান করে দিয়েছেন, যার পরিবারের অবদান সারা বাঁশখালী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, যে পরিবারের প্রতিটা সুযোগ্য সন্তানেরা বাঁশখালীর সকল স্তরের মানুষের সাথে এক কাতারে মিশে চলে, তিনিই হলেন বাঁশখালী আপমর জনসাধারণের নয়ন মনি আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান সি আই পি।

উপরোক্ত তথ্যের ভিত্তিতে, স্মার্ট বাঁশখালী গড়ার লক্ষ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাঁশখালী তথা চট্টগ্রাম ১৬ আসন হতে বর্তমান দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি মুজিবুর রহমান সিআইপি-কে সাংসদ হিসেবে দেখতে চাই বাঁশখালীবাসী । এটাই বাঁশখালীর সর্বস্তরের জনসাধারণের সর্বোচ্চ প্রত্যাশা।।

আমি আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান সি আই পি’র’ সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি এবং স্মার্ট বাঁশখালী গড়ার লক্ষ্যে আগামী সংসদ নির্বাচনে বরাদ্দকৃত ঈগল প্রতীক নিয়ে বাঁশখালী বাসীর প্রত্যাশা পুরণের জন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.