নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে পাহাড় কেটে বালু বিক্রি শীর্ষক একটি সংবাদ ১ফেব্রুয়ারী(বৃহস্পতিবার) রাতে প্রকাশিত হয়েছে চট্টগ্রামের স্থানীয় দৈনিক আজাদী পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে।
উক্ত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে কাঞ্চনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগনেতা ও ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কাঞ্চনা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য সজ্জন ব্যক্তিত্ব ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নানকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মনগড়া।
এই সংক্রান্ত সংবাদ আওয়ামী লীগনেতা ও সজ্জন ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান তার মানহানি হয়েছে মর্মে গণমাধ্যমে পাঠানো লিখিত এক প্রতিবাদ বক্তব্যে বলেন- আমি দীর্ঘকাল ধরে জামায়াত অধ্যুষিত এই জনপদে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে আসছি,এবং আমার ভাতিজাকেও নির্মম ভাবে প্রকাশ্যে হত্যা করেন জামাত শিবিরের দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা।
তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করতে গিয়ে একটি গ্রুপ একটি কু-চক্রী মহল এই এলাকায় স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে বার বার আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
আমি মনে করি গুরগুরিস্থ এওচিয়ার সীমানায় যে পাহাড় কাটছি বলে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ করা হয়েছে সেটা নি:সন্দেহে নিছক একটি ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন,এরকম প্রোপাগাণ্ডার ফলে আমাকে স্থানীয় রাজনীতির অন্তর্কোন্দলের শিকার করা হচ্ছে, এবং এই সংবাদে আমার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন এবং সামাজিক অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করা হচ্ছে। আমি এই ওয়ার্ডের বার বার নির্বাচিত ইউপি সদস্য। এবং বর্তমানে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্বেও আছি, আমি আমার ৫৫বছরের বয়সে জীবনেও কোনদিন মাটি কিংবা গাছের ব্যবসা করিনি,বিন্দুমাত্র জড়িতও নেই।
অথচ বৃহস্পতিবার আজাদী পত্রিকার অনলাইনে আমাকে নিয়ে ভিত্তিহীন মনগড়া উদ্দেশ্য প্রনোদিত নিউজ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মূলত গত বর্ষায় মানুষের চলাচলের রাস্তায় পাহাড় ধসে পড়লে পাহাড়ের যে অংশটুকু রাস্তায় ধেবে এসেছে, তা গুরগুরি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা সবাই সামাজিক ভাবে টাকা তোলে তারাই এস্কেভেটর আর ডাম্পার দিয়ে মাটি সরিয়ে চলাচলের পথটি পরিস্কার করেছেন।
এবং রাস্তাটি এলাকাবাসী পরিস্কার না করলে অন্তত ওই পাশের ১০০ একরের মত সম্পত্তিতে কোন চাষ হবেনা।
এদিকে একই বিবৃতি ওই পাহাড়ের খতিয়ানের মালিক শামসুল ইসলাম, তৌহিদসহ অন্তত ২০জন বাসিন্দা বলেন, ধসে পড়া পাহাড়টি আমরা সবাই সামাজিক ভাবে টাকা উত্তোলন করে মারি সরিয়েছি, এখানে সাবেক ছাত্রনেতা ও আওয়ামী লীগনেতা নুরুল আলমকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত করা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।