বন্দরে যানজট দূর করতে ট্রানজিট সুবিধা প্রত্যাহার করেছে ভারত: রণধীর জয়সওয়াল

বাংলাদেশকে দেয়া গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট সুবিধা প্রত্যাহার করেছে ভারত। এই ট্রানজিটটি ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য পাঠাতে সহায়তা করত। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) জারি করা সার্কুলার নং ১৩/২০২৫-কাস্টমস এর মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।

ফলে ভুটান, নেপাল এবং মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্রুত এবং স্বল্প খরচে বাণিজ্য করার একটি কার্যকর পথ বন্ধ হয়ে গেল। এতে আঞ্চলিক বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়মাবলীর অধীনে ভারতের দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এই বিষয়ে বুধবার (৯ এপ্রিল) প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, বাংলাদেশে প্রদত্ত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার ফলে আমাদের বিমানবন্দর এবং বন্দরগুলিতে দীর্ঘ সময় ধরে উল্লেখযোগ্য যানজট তৈরি হয়েছিল। লজিস্টিক বিলম্ব এবং উচ্চ ব্যয় আমাদের নিজস্ব রপ্তানিকে বাধাগ্রস্ত করছিল এবং আটকে যাচ্ছিল। তাই মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) থেকে এই সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এই পদক্ষেপগুলি ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে নেপাল বা ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানির উপর প্রভাব ফেলবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

২০২০ সালের জুনে চালু করা এই সুবিধার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারে রপ্তানি পণ্য ভারতের স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর ব্যবহার করে পাঠানো হতো। সিবিআইসির নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ববর্তী বিজ্ঞপ্তিটি তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করা হয়েছে। তবে এরই মধ্যে ভারতে প্রবেশ করা কার্গোগুলোকে পূর্ববর্তী নিয়ম অনুযায়ী ভারতীয় ভূখণ্ড ত্যাগের অনুমতি দেয়া হবে।

ভারতের তৈরি পোশাক খাতসহ একাধিক রপ্তানিকারক সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে দেয়া এই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিল। তাদের অভিযোগ, প্রতিদিন ২০-৩০টি বাংলাদেশি ট্রাক দিল্লির এয়ার কার্গো কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে, ফলে ভারতের রপ্তানি পণ্য পরিবহনে ধীরগতি দেখা দেয়, বিমান পরিবহনে জায়গার সংকট তৈরি হয় এবং পরিবহন ব্যয় বেড়ে যায়। অবশেষে তাদের দাবি মেনে আই সিদ্ধান্ত নিল মোদির দেশ।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.