আ ন ম সেলিম, পটিয়া (চট্টগ্রাম) :
চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রায় ৭ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে প্রায় ৪ ঘণ্টা সকল ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংক,রূপালি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংকসহ সকল ব্যাংকের শাখা ও উপশাখায় লেনদেন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
চাকরিচ্যুত ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও আন্দোলনে অংশ নেন। সকাল থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা পটিয়ার প্রতিটি ব্যাংকের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেন। পটিয়া থানার মোড়স্থ ন্যাশনাল ব্যাংকের শাখা খোলার চেষ্টা করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) আরিফুল ইসলাম এবং পটিয়া থানার ওসি মো. নুরুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।
জানা গেছে, এস আলম গ্রুপের একাধিক ব্যাংক রয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গ্রুপটির ব্যাংকের প্রায় ৭ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিনা নোটিশে পর্যায়ক্রমে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরই প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে পটিয়ার সব ব্যাংকের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
আন্দোলনে গণঅধিকার পরিষদের চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ডা. এমদাদুল হাসান, ইসলামী ফ্রন্ট পটিয়ার সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার মোহাম্মদ পেয়ারু, কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা হাবিবুর রহমান রিপন,মামুনুর রশিদ মামুন,পরিবেশক সমিগির নেতা এস এম হারুনুর রশিদ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানুর রহমান জানান,চাকরিচ্যুত ব্যাংক কর্মকর্তারা সকাল থেকে ব্যাংকিং কার্যক্রম অবরোধ করেছেন। পরবর্তীতে আমাদের পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতায় উপজেলা প্রশাসনের আলোচনার মাধ্যমে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।