চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার এনায়েতপুর মজুমদার বাড়িতে তাকাল প্রাপ্তা স্ত্রীর পক্ষের হামলায় ব্যবসায়ী মাহবুব ও তার পরিবারের পক্ষ হামলার শীকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মাহবুব। ১৫ মে( শনিবার) এ ঘটনা ঘটে। মাহবুব এনায়েতপুর গ্রামের মৃত আরিফুল ইসলাম মজুদারের ছেলে। পরে ৯৯৯ এ কল করলে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় মাহবুবসহ পরিবারের ৭ জন আহত হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মাহবুব ঢাকায় ব্যবসা করে। ঈদের পর দিন সে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।
হাজীগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশিদ জানান, এ ব্যপারে অভিযোগ হয়েছে। বিষযটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
জানতে চাইলে ব্যবসায়ী মাহবুব জানান, গত ২০০০ সালে আমি আমার বাড়ির রেহানা নামে একজনকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করি। পরে তার সাথে বনিবনা না হলে ২০১৮ সালে আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।তবে আমি ২০০৬ সালে প্রথম স্ত্রী অনুমতি নিয়ে অন্যত্র বিয়ে করি। প্রথম স্ত্রীর নানা প্রকার অত্যাচার নির্যাতন ও মানুষিক যন্ত্রনার কারণে আমি অন্যত্র বিবাহ করতে বাধ্য হই।
গত ১৫ মে ২১ খ্রি.( শনিবার) ঈদুল ফিতরের পরদিন আমি আমার স্ত্রী সন্তান ও চাচাত বোন জামাইসহ গ্রামের বাড়ি আসি। আমি পরিবার সহ আমার চাচা টিটু মজুমদারের ঘরে উঠি। হটাৎ খবর পেয়ে আমার তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী রেহানার ভাই রুবেল, বোন স্বপ্না, শিরিনা, বোন জামাই হেলাল ও আনোয়ার আমার উপর আতর্কিত হামলা করে। এক পর্যায়ে তারা ঘর দরজা ভাংচুর করে আমার ও স্ত্রী সাবিনা মেয়ে মাহি,মাইশা, ৭ মাসের শিশু ইউশার উপর হামলা করে। এসময় চাচাত বোন জামাই সরওয়ার আহত হয়। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আমরা প্রসাশনের কাছে এ ঘটনার সুষ্টু বিচার দাবি করছি।