বজ্রপাতে প্রাণ হারাল সাতজন

নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে মোট আটজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও চার জন। মঙ্গলবার (১৮ মে) দুপুরে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার সময় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার (১৮ মে) বিকালের দিকে নেত্রকোণার কেন্দুয়া, খালিয়াজুরী ও মদন উপজেলায় ঝড়-বৃষ্টির সময় সাতজনের মৃত্যু ও চারজন আহত হন।

নিহতরা হলেন- কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের কুন্ডুলী গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে কৃষক ফজলু মিয়া (৫৫), একই উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের বৈরাটি গ্রামের আসন খানের ছেলে বায়েজিদ মিয়া (৪২), খালিয়াজুরী উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাতোয়াইল গ্রামের মঞ্জুরুল হকের ছেলে মনির হোসেন (৩০), মেন্দিপুর ইউনিয়নের জগ্ননাথপুর গ্রামের খেলু ফকিরের ছেলে অসেক মিয়া (৩৫), একই গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে বিপুল মিয়া (৩০) এবং মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে হাফেজ মোহাম্মদ শরীফ (১৮) ও একই গ্রামের আব্দুল মন্নাফের ছেলে মাওলানা আতাবুর রহমান (২১)।

আহতরা হলেন মদন উপজেলার পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের রবিন (১৫) রুমান (১৮) ও একই উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামের ভিক্ষু মিয়ার স্ত্রী কণা (৪৫) এবং চন্দন মিয়ার স্ত্রী সুরমা আক্তার। আহতদেরকে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ, খালিয়াজুরী থানার ওসি মজিবুর রহমান এবং মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম এসব তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে একইদিন দুপুরে কিশোরগঞ্জের নিকলীর গুরুই ইউনিয়নের বেয়াতিরচর হাওর এলাকায় বজ্রপাতে মো. আরিফুল ইসলাম (১৭) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত আরিফুল ইসলাম গুরুই ইউনিয়নের বেতি নয়াগাঁও এলাকার মিয়া চাঁনের ছেলে।

জানা গেছে, দুপুরে আরিফুল ইসলাম গুরুই ইউনিয়নের বিয়াতিরচর হাওর থেকে গরু আনতে যায়। এ সময় ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে আরিফুল গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা আরিফুলকে উদ্ধার করে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

গুরুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের ও নিকলী থানার ওসি শামছুল আলম সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.