আবারও চড়া তেলের বাজার, কমছে মাংসের দাম

রমজানের শেষদিকে দাম কমলেও আবারো চড়েছে ভোজ্যতেল। বরাবরের মতোই আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার দোহাই দিচ্ছেন বিক্রেতারা। এদিকে ঈদের আগে মাংসের দাম বাড়লেও এখন কিছুটা কমেছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (২১ মে) নগরের কর্ণফুলী মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ঈদের ছুটি শেষ হতে না হতেই ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে সব কোম্পানি। পাইকারিতে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।

গত ১৫ মার্চ ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল সর্বোচ্চ ১৩৯ টাকা, পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল সর্বোচ্চ ৬৬০ টাকা ও পামতেল সর্বোচ্চ ১০৯ টাকায় বিক্রি করার কথা। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে এমন অজুহাত দেখিয়ে বিক্রেতারা প্রতি লিটার বোতলজাত ভোজ্যতেল ১৩৯ থেকে ১৪৪ টাকা, পাঁচ লিটার বোতলজাত কোম্পানিভেদে ৬৬০ থেকে ৬৮৫ টাকায় ও পামতেল লিটার প্রতি ১১৫ টাকায় বিক্রি করছেন।

ব্যবসায়ীরা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে আবারো তেলের দাম বেড়েছে। তাই আমাদের দেশেও বাড়তি। ঈদের আগে প্রতিমণ ভোজ্যতেল ৪ হাজার ৩৫০ থেকে ৪ হাজার ৪০০ টাকায় কেনা যেত। এখন তা বেড়ে ৪ হাজার ৭০০ থেকে ৪ হাজার ৮০০ টাকায় প্রতিমণ তেল বিক্রি হচ্ছে।

কর্ণফুলী মার্কেটে বাজার করতে এসেছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী ফরিদ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘দফায় দফায় তেলের দাম বাড়ছে। এটা এমন এক পণ্য, না কিনেও উপায় নেই। আমরা মধ্যবিত্তরা দাম বাড়লেই বিপাকে পড়ি। সরকার ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নিলে সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেতাম।’

এদিকে ঈদের সময় সবজির বাজার চড়া থাকলেও আজকের বাজারে কিছুটা কম দেখা গেছে দাম। প্রতিকেজি সবজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সপ্তাহখানেক আগেও ৬০ টাকার নিচে বিক্রি হয়নি অধিকাংশ সবজি। আজকের বাজারে করলা, বরবটি, পটল, ধুন্দুল, চিচিংগা, কাকরোল ও শসার কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। টমেটো, পেঁপে, ঢেড়শ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।

এছাড়া ঝিঙে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচাকলার হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে কেজিপ্রতি মসুর ডাল (মোটা দানা) ৭০ টাকা, মসুর ডাল (ছোট দানা) ১০০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, মটর ডাল ১০০ টাকা, খেসারি ৭৫ টাকা ও ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

ঈদের আগে মাংসের বাজার অস্থিতিশীল থাকলেও আজকের বাজারে দাম কমেছে। সপ্তাহখানেক আগে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকায় ও ৩০০ টাকার সোনালি মুরগি আজ ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি।

গরু আর খাসির মাংসের দামও কমেছে। ঈদের আগেরদিন ৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া গরুর মাংস আজ ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়।

মাংস ব্যবসায়ী কুদ্দুস মিয়া বলেন, ‘ঈদের সময় মাংসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়ে গিয়েছিল। এখন মাংসের দাম কিছুটা কমেছে। সামনে মুরগির দাম আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।’

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.