নয়ন দেব নাথ
ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে আবারও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। আজ সকাল থেকে কুয়াশা ও শীত পড়ে আবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে আলো দেখা গেলেও বাড়ছে কনকনে তীব্র শীতের দাপট। ঘন কুয়াশা আর হিম শীতল বাতাসে ঠাণ্ডার তীব্রতা বেড়েছে। জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের জবুথবু অবস্থা। শহরতলিগুলো ঢাকা পড়ছে কুয়াশায়। রাত গভীর হলে নগরেও বাড়ে কুয়াশার দাপট।কুয়াশার কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।
এতে প্রচন্ড শীতের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে জন সাধারণ মানুষেরা। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় চরম দুর্ভোগে তারা। সূর্যের দেখা মিললেও নেই রোদের উত্তাপ। হিমশীতল বাতাস আর কনকনে শীতে বেকায়দায় হয়ে পড়ছে নগরবাসীরা। ঘন কুয়াশা আর শীতের কারণে খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষেরা বিপাকে পড়েছে। চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন মোড়ে অনেককে আগুন জ্বেলে শীত তাড়াবার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। রোববার থেকে সন্ধ্যার পরপর চট্টগ্রামে কুয়াশা জেকে বসেছিল।
আবহাওয়াবিদরা জানান, বাতাস উষ্ণ এবং আদ্রতা বেশি থাকার কারণে চট্টগ্রামে কয়েকদিন ধরে কুয়াশার আধিপত্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একটি মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।গত কয়েক দিন ধরে আমরা চট্টগ্রামে এমনটা খেয়াল করছি। মূলত রাতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার আগেই কুয়াশা তৈরি হয়ে যাচ্ছে। আর বাতাস কম থাকার কারণে কুয়াশা সরে যেতে পারছে না।এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে স্কুলে নতুন ক্লাসে যেতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। ঠান্ডা বাতাসের কারণে সকালে যানবাহনের সংখ্যা কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন অনেকে।কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছেন তারা।কনকনে ঠান্ডা আর হিমশীতল বাতাস শীতের তীব্রতা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। ঘন কুয়াশার মধ্যে মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে যান চলাচল করছে। নগরীর তুলনায় গ্রামে শীতের কাঁপুনি বেশি।