‘প্রধানমন্ত্রী, কক্সবাজার সদর থানার ওসির হাত থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন’

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, কক্সবাজার সদর থানার ওসির হাত থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন-বিনয়ের সুরে কথা বলছিলেন-বাংলাদেশের পর্যটন খাতে নানাবিধ প্রকল্পের বিনিয়োগকারী, কৃষি, সামাজিক, মানবিকসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাতকানিয়া উপজেলার ভাইস প্রেসিডেন্ট, আধুনিক কক্সবাজার পর্যটন খাতের সর্ববৃহত্তম প্রকল্প ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব হাজী দেলোয়ার হোসেন।

হাজী দেলোয়ার হোসেন ২০০৮ সালে স্থানীয় ভূমি মালিকদের সাথে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও বিধান মতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করি। বিগত ০৬/০৫/২০০৮ইং তারিখে সাব রেজিষ্টার কক্সবাজার সদর কর্তৃক রেজিঃকৃত ১৬৩৮নং চুক্তিপত্র ও ০৮/০৫/২০০৮ইং তারিখে রেজিঃকৃত ১৬৪০নং আম-মোক্তারনামা দলিল মূলে আমি ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়ে তথায় বিদেশ থেকে অর্জিত অর্থায়নে ওয়ার্ল্ড বীচ রিসোর্ট নামকরণে করে পর্যটন শিল্পের বিকাশ সাধনে ভবন নির্মাণ করে দৃষ্ঠান্ত উপস্থাপন করি। পর্যটনখাতে হাজী দেলোয়ার হোসেন-এর অগ্রগতি দেখে অনেককে পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। তিনি বলেন সীমাহীন প্রতিকুলার মাঝেও চুক্তিমতে মাটি ভরাট, মাটি কর্তনসহ ভূমির সার্বিক উন্নয়ন পুর্বক ভবন নির্মাণ করিয়া ভূমির মালিকদেরকে ২৯/০৮/২০১২ সালে রেজিঃকৃত ৩৬৯৩ বন্টননামার ভিত্তিতে মালিকানা বুঝিয়ে দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আবাসন ও পর্যটন বিকাশে কাজ করে চলছিলাম। তিনি দুঃখের সাথে জানান স্থানীয় কক্সবাজার সদর থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গীয়াসকে ব্যক্তিগতভাবে মনোরঞ্জ করতে না পারায় তিনি বিশেষ লোভে লালায়িত হয়ে অনাকাংঙ্খিতভাবে আমার উপর ‘কব্জির জোর’ দেখিয়ে আমার সারাজীবনের সততা ও ন্যায়পরয়নার মূলে কুঠারাঘাত করেছে। তিনি আরো বলেন-আমি জানি অর্থ মানুষকে কলুষিত করে-কিন্তু এতো বেশী কলুষিত করে সেটা আমার জানা ছিল না। অতি বেশী লোভ লালায়িত হয়ে কক্সবাজার থানার ওসি যোগসাজসে আমার প্রতিপক্ষকে লেলিয়ে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার এবং আমার পরিবারের উপর অমানবিক নির্যাতন ও গ্রেফতার করে। কক্সবাজার সদর থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গীয়াস, পরিদর্শক (তদন্ত) ও পরিদর্শক (অপারেশন) সহ ১০/১৫ একদল পুলিশ, কমান্ড স্টাইলে আমার এবং আমার পরিবারের উপর ঝাপিয়ে পড়ে, যা আমার ৬৪ বৎসরের জীবনে প্রথম বার দেখলাম। চোর, ডাকাত, চিনতাইকারীদের মতো জামার কলার ধরে এবং অন্যদেরকে হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে টানা হেছড়া করে তাদের গাড়ীতে তুলে চরম নির্যাতন করে। যা বর্ণনাতীত।

উল্লেখ্য ৮/১১/২০২১ রাত ৮.৩০ মিনিটে গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়া আমি সহ আমার পরিবারের সদস্যকে থানায় আটকিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়া করা হয়, আমি প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় পরের দিন কক্সবাজার সদর থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গীয়সের ব্যক্তিগত খায়েশের কারণে আমার প্রতিপক্ষ ভূমির মালিকদেরকে পূর্ব পরিকল্পনার জের হিসেবে বাংলাদেশ দন্ডবিধির ১৪৩/৩৪২/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৮৫/ ৩৮৬/৩৮৭/৩৬৫/৫১১/১১৪, পেনাল কোড-১৮৬০ বেআইনী জনতাবদ্ধে হুকুমমতে অবৈধ আটক পূর্বক হত্যার উদ্যোশে এবং চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে মারপিট করিয়া এবং ধারালো ছোরা দ্বারা ঘাই মারিয়া সাধারণ ও গুরুত্বও জখম করত: স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর গ্রহণ করাসহ অপহরণ করার চেষ্টার অপরাধ) ধারায় একদিন পর অর্থাৎ ০৯.১১.২০২১ইং তারিখের দুপুর ০১.৪৫ মিনিটে মামলা দায়ের করে। উল্লেখ্য আমার পর্যটন ব্যবসা প্রতিষ্টান অর্থাৎ হোটেলের সিসিটিভিতে ক্সবাজার সদর থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গীয়াস কর্মকান্ড পরিস্কারভাবে ফুটে উঠেছে। উল্লেখ্য এজাহারের বর্ণনার সঙ্গে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজের কোন মিল নেই। আমি এবং আমার পরিবার আদালতে জামিনে মুক্ত হতে পারি সে অধিকার বঞ্চিত করতে আমাদেরকে আদালতে চালান দেওয়া হয় বিকেল ৫টায়। আমার প্রবাসী মেয়ের জামাই জনাব আহমদ হোসেন-আমাদেরকে পানি-রুটি দিতে থানায় আসায় তাঁকেও ৬নং আসামী বানানো হয়-এটাই হচ্ছে-ক্সবাজার সদর থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গীয়াস-এর অনৈতিক কর্মকান্ডের নমুনা অর্থাৎ অসৎ উদেশ্যে, অনাকাংঙ্খিত চাওয়া-পাওয়ার লোভে আমার ভূমির মালিকদের জোগসাজসে এমন অমানবিক নির্যাতন, গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দায়ের। আমি পরিস্কার বলতে চাই-আমি ওয়ার্ল্ড বীচ রিসোর্টে বরাদ্ধের নামে টাকা নিয়ে পজেসন দেই নি এমন একটা প্রমান কেউ দেখাতে পারবেন না।

হাজী দেলোয়ার হোসেন বলেন, দেশের স্বার্থে, পর্যটন শিল্প বিকাশের স্বার্থে আরো বেশী সমাজ উন্নয়নে কাজ করতে চাই। অতএব আমার এবং আমার পরিবারের উপর কক্সবাজার সদর থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গীয়াস যে অমানবিক অনাকাংঙ্খিত নির্যাতন করেছেন তার ন্যায় ভিত্তিক বিচার চাই।

অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব লায়ন ড. মোজাহেদুল ইসলাম মুজাহিদ, নির্বাহী প্রধান, সিএইচআরএম, বিশিষ্ট সমাজসেবক যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা হোসেন আহমেদ, মানবাধিকার নেতা নবাব সালেহ আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব, সেন্টার ফর হিউম্যান রাইট্স মুভমেন্ট, লায়ন মোঃ রেজাউল করিম সাগর, নারীনেত্রী সম্পা আক্তার, নারীনেত্রী হুমাইরা আহমেদ ঐশী, এম.এ. সাত্তার মজনু, সমাজসেবক আজম চৌধুরী

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.