পূর্ব শত্রুতায় গাছের সঙ্গে বেঁধে মহিলাকে মারধর

লোহাগাড়া প্রতিনিধি

পুর্ব শত্রুতার জেরে লোহাগাড়া থানাধীন চুনতি ইউনিয়নে গাছের সঙ্গে বেঁধে এক মহিলাকে মারধর করেছে প্রতিপক্ষরা।

১৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার দিকে চুনতি ইউনিয়নের পানত্রিশা ৯নং ওয়ার্ডের ভ্রামন পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। আহত মহিলার নাম ছালেহা বেগম(৩২)। সে ওই এলাকার কৃষক মুহাম্মদ কামাল উদ্দিনের স্ত্রী বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় আহত মহিলার স্বামী মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে একই এলাকার মৃত আবুল কাসেমের পুত্র মুহাম্মদ ফরিদুল আলম(৪৫), তার স্ত্রী খুকি আকতার(৩২) কে বিবাদী করে লোহাগাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে কামালের পুত্র মুহাম্মদ মাহিম (৮) বিবাদীগনের বাড়ির সামনে খেলা করছিল। পুর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতি হিংসার বসবর্তী হয়ে উল্লেখিত বিবাদী মারধর করতে থাকে। বিষয়টি মাহিমের মা ছালেহা বেগম জানতে পারলে তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে ফরিদুল আলমের নেতৃত্বে দলবল মিলে লোহার রড়, গাছের বাটাম ও দা দিয়ে এলোপাতাড়ি ছালেহা বেগমকে মারধর করে। পরবর্তীতে তাকে রশি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে বেদম মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে।

পরে স্হানীয়রা উদ্ধার করে তাকে গুরুত্বর আহত অবস্হায় উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে দ্বিতীয় তলায় ২০ নং কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও অভিযোগে প্রকাশ।

আহত মহিলার স্বামী মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন জানান, ‘আমি একজন কৃষক। আমি কৃষি কাজে সকালে বাড়ী থেকে চলে যায়। আমার স্ত্রীকে অতর্কিতভাবে ফরিদ ও তার স্ত্রী খুকি এলোপাতাড়ী মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্হানে জখম করে। তিনি এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের কাছে সুষ্ট বিচারের জোর দাবী জানান।’

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে তদন্তপুর্বক দ্রুত ব্যবস্হা গ্রহণের জন্য চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ(ইন্সপেক্টর) মুুহাম্মদ রাফিকুল ইসলাম জামানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.