চকরিয়ার ৪১ একর খাসজমি বিক্রিতে স্থিতাবস্থা

কক্সবাজারের চকরিয়ার ভেওলা মানিকচরের পাহাড়িয়াপাড়া এলাকার প্রায় ৪১ একর জমি বেচাকেনা ও সব ধরনের হস্তান্তরের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই ৪১ একর খাসজমিকে অবমুক্ত ঘোষণা করাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বুধবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুরাইয়া নাসরিন।

আইনজীবী সুরাইয়া নাসরিন জানান, কক্সবাজারের চকরিয়ার ওই ৪৫ একর খাসজমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প আছে। ১৯৯৬ সালে এবং ২০২২ সালে মুজিববর্ষে সেখানে সরকারিভাবে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ মানুষ লিজ নিয়ে বসবাস করে আসছিল। ২০২০ সালে এক রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই জমির প্রায় ৪১ একর অবমুক্ত করে চকরিয়া ভূমি অফিস। এটি চ্যালেঞ্জ করে গত ১৬ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন আবু সিদ্দিকসহ ১১ স্থানীয় বাসিন্দা। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আজকে অবমুক্ত করা প্রায় ৪১ একর জমি বেচা-বিক্রি হস্তান্তরের ওপর ছয় মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন। একই সঙ্গে রুল জারি করেছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ভূমি সচিব, বিভাগীয় কমিশনার ঢাকা, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও সহকারী জেলা প্রশাসককে (ভূমি) রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।

সুরাইয়া নাসরিন আরও বলেন, মানিকচর ইউনিয়নের পাহাড়িপাড়া এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আংশিক এবং ৯ নম্বরে ওয়ার্ডে ৪১ দশমিক ৬৮ একর সরকারি খাসজমি অবমুক্ত করে স্থানীয় ভূমি অফিস। এরপর পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আবুল মনসুর ওই জমি বিক্রি শুরু করেছেন। ১৯৮১ সাল থেকে কয়েক হাজার বাসিন্দা এই খাসজমিতে লিজ নিয়ে বসবাস করে আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প, সরকারি স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ সরকারের বেশ কিছু প্রকল্পও রয়েছে সেখানে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.