ফ্রান্সজুড়ে বিক্ষোভ সংঘর্ষ

ফ্রান্সে পুলিশের গুলিতে এক কিশোর নিহতের ঘটনায় টানা পঞ্চম রাতের মতো বিক্ষোভ হয়েছে। এসময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।

গেল চতুর্থ দিনের মতো— শনিবার রাত থেকে আবারও রাস্তায় জড়ো হওয়া শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর রাতভর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ চালান তারা। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে দক্ষিণের শহর মার্সেইতে। বিক্ষোভকারীদের থামাতে পুলিশ সেখানে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। এছাড়া মার্সেই থেকে ৫৬ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।

তবে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের কারণে পঞ্চম রাতে রাজধানী প্যারিস গত কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা শান্ত ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাড ডারমানিন টুইটে জানিয়েছেন, গত রাতে সবমিলিয়ে ৪২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তাবাহিনীর বলিষ্ঠ পদক্ষেপের কারণে অন্যদিনের তুলনায় শান্ত একটি রাত পার করেছেন ফ্রান্স।

এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মার্সেইতে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের বড় একটি অংশ শহরের সবচেয়ে বড় এভিনিউ লা ক্যানবেরেতে জড়ো হন। ওই সংঘর্ষ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে।

অপরদিকে প্যারিসের বিক্ষোভকারীদের আইকনিক চ্যাম্পস-এলিতে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তবে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকায় তারা সেখানে আর জড়ো হতে পারেননি। এখান থেকে ১২৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাবধানতা অবলম্বনের জন্য রাত ৯টা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাজধানীতে সব ধরনের বাস ও ট্রাম চলাচল।

উত্তরের শহর লিলে কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ফায়ার ফাইটাররা দ্রুত এসে সেসব আগুন নেভান। এখান থেকে অন্তত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শহরটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাজধানী প্যারিসের উপকণ্ঠ নানতেরেতে পুলিশের গুলিতে নাহেদ এল (১৭) নামের এক কিশোর নিহত হন। এরপরই বিক্ষোভে নামেন দেশটির তরুণ-তরুণীরা। যা দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রকট আকার ধারণ করেছে।

জানা যায়, ওই দিন নানতেরেতে একটি গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিল নাহেল এম। ওই সময় তাকে থামার নির্দেশনা দেয় পুলিশ। গাড়ি থামার পর নাহেলের দিকে এক পুলিশ সদস্যকে পিস্তল তাক করে রাখতে দেখা যায়। তবে নাহেল হঠাৎ করে গাড়ি টান দিলে খুব কাছ থেকে গুলি করে তাকে হত্যা করে ওই পুলিশ সদস্য।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.