খুবির দুই শিক্ষার্থী বরখাস্তের প্রত্যাহার চায় ইবি শিক্ষার্থীরা

 

আনিছুর রহমান সাইমন, ইবি প্রতিনিধি:

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে মানববন্ধন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রবিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে তারা এ দাবি জানান।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদী স্লোগান সম্বলিত বিভিন্ন ফেস্টুন হাতে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিবের সামনে একত্রিত হয়। “পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিষ্কার খেলা বন্ধ কর’, ‘আবিষ্কার নয়, বহিষ্কারে আছি’, ‘স্বৈরাচারী প্রশাসন ধিক্কার, ধিক্কার’, ‘কথায় কথায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী বহিষ্কার বন্ধ কর’, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কি শুধু বহিষ্কারের জন্য?”, সহ বিভিন্ন ফেস্টুন দেখা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শামিমুল ইসলাম সুমনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রায়হান বাদশা রিপন, আব্দুর রউফ, জি কে সাদিক, মোস্তাক আহমেদ, হেমায়েত কবির প্রমুখ। এ ছাড়া মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের মাধ্যমে প্রশাসন এটিই দেখিয়ে দেয় যে, তারা শিক্ষার্থীদের কোন দায়ভার নিতে চায়না। ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হল বন্ধ রেখেই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এসে কোথায় থাকবে এ ব্যপারে প্রশাসন কিছু ভাবছে না। আমরা চুপ থাকলে প্রশাসন আরো জেঁকে বসবে।

খুবি শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে তারা বলেন, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো একটিও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যায় নাই। প্রশাসনের বিরুদ্ধেও যায় নাই। বিশ্ববিদ্যালয় যদি শিক্ষার্থীদের জায়গা হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে কথা বলে বহিষ্কার হবে কেন?

মানববন্ধনে বক্তারা আশা করেন, শিক্ষার্থীদের ওপর জঘন্য একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুবি প্রশাসন। আশা করি তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে সে অবস্থান থেকে ফিরে আসবে।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রী ও ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ একাত্বতা পোষণ করে।

উল্লেখ্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন-ফি কমানো, আবাসন সংকট সমাধান, দ্বিতীয় পরীক্ষণের ব্যবস্থাসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ, তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা না করাসহ বিভিন্ন কারণে ওই দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।তাঁদের আন্দোলনের সাথে সংহতি জানানোর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে অপসারণ এবং একজন শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ঘোষণা করে করে খুবি প্রশাসন। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে দুই শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে শুরু হওয়া অনশন কর্মসূচি এখনো অব্যাহত আছে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.