ধর্ষণের অপমান সইতে না পেরে মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যা!
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ধর্ষণের অপমান সইতে না পেরে এক মাদ্রাসা ছাত্রীর বিষপানে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজাখালী ইউনিয়নের হাজীর পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাদ্রাসা ছাত্রী ওই এলাকার দিনমজুর আইয়ুব আলীর মেয়ে ও রাজাখালী বেশারাতুল উলুম মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় কয়েকজন বখাটে ছেলে মিলে তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে। এই অপমান সইতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান। মামলার আসামিরা হলেন— বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়নের মকসুদ আহমদের ছেলে আবুল কাশেম, রাজাখালী ইউনিয়নের হাজী পাড়ার মৃত বাদশার ছেলে আলমগীর ও নুরুল হকের ছেলে রবি আলমকে আসামি করে পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে।
ভিকটিমের বাবা আইয়ুব আলী জানান, ঘটনার সময় আমি ও আমার স্ত্রী বাঁশখালীর পুঁইছড়ি আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম। রাতে ছেলে রাসেল ফোন দিয়ে বলেন— রেখা মণি বিষপান করেছে। দ্রুত বাড়িতে এসে স্থানীয়দের থেকে জানতে পারি আলমগীর, রবি আলম ও আবুল কাশেম আমার মেয়েকে রাতে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে পাশের মৎস্য ঘেরের টং ঘরে নিয়ে তিনজন মিলে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় অপমানবোধ করে রাতে বিষপান করেন।
তিনি বলেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নেজাম উদ্দিন নেজু জানান, আমি যতটুকু জানতে পেরেছি নিহত ছাত্রীকে মাদ্রাসা আসা যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতো আবুল কাশেম নামে এক যুবক। সর্বশেষ রাতে আবুল কাশেম, আলমগীর ও রবি আলম নামে তিন যুবক রাতে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ছাত্রী অপমান সইতে না পেরে রাতে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
এ প্রসঙ্গে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কানন সরকার জানান, ১৪ বছরের এক কিশোরীর বিষপানে আত্মহত্যার খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে। পরে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।